নিজস্ব প্রতিবেদক: এক বছর আগে ইসলামি শরিয়াহসম্মত বন্ড বা সুকুক ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল বেক্সিমকো গ্রুপের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)। সুকুক ইস্যুকালীন সময়টাতে ভালো মুনাফা দেখিয়েছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। কিন্তু সুকুকের টাকা নেওয়ার এক বছরের মধ্যেই ভালো মুনাফার কোম্পানিটি লোকসানে পড়েছে।
চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটি লোকসান দেখিয়েছে ৭০ কোটি টাকারও বেশি, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ৩৩৫ কোটি টাকা নিট মুনাফা ছিল। রপ্তানি ও স্থানীয় বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ার পাশাপাশি ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘেœর কারণে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধিতে লোকসানে পড়েছে বলে জানিয়েছে বেক্সিমকো।
গতকাল কোম্পানিটি চলতি প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে বেক্সিমকোর পণ্য বিক্রি থেকে আয় প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে। চলতি প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির আয় হয়েছে ৫৮১ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা। এ সময় কোম্পানির উৎপাদন ব্যয় মোট বিক্রির ৬৮ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে প্রায় ৮৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
চলতি প্রথম প্রান্তিকে বেক্সিমকোর মোট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯৩ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬০২ কোটি টাকা। চলতি প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির পরিচালন আয় হয়েছে ৬২ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮৯ শতাংশ কম। ঋণের সুদ পরিশোধের পর কোম্পানিটি পরিচালন লোকসানে পড়েছে। চলতি প্রথম প্রান্তিকে ঋণের সুদ ও আসল বাবদ পরিশোধ করেছে ১২৮ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪৭ কোটি টাকা। এতে করে পরিচালন লোকসান দাঁড়ায় ৬৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যেখানে আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩৯৬ কোটি টাকারও বেশি পরিচালন মুনাফা ছিল। কর পরিশোধের পর চলতি প্রথম প্রান্তিকে বেক্সিমকো লিমিটেডের নিট লোকসান আরও বাড়ে।