বিশ্ব পুঁজিবাজারে বেশিরভাগ সূচকের পতন

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউরোপ ও এশিয়ার বেশিরভাগ পুঁজিবাজারে গতকাল মঙ্গলবারে সূচকের পতন হয়েছে। এদিন ওয়াল স্ট্রিটের সূচকগুলো মিশ্র প্রবণতায় ছিল। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের চাঙাভাবে দেখা যায়নি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। খবর: এপি।

মঙ্গলবার জার্মানির ডিএএক্স সূচক শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ হাজার ১১০ পয়েন্টে অবস্থান করে। প্যারিসের সিএসি ৪০ সূচকও শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে ৭ হাজার ০০২ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে শেষ হয়। ব্রিটেনের এফটিএসই ১০০ সূচক কমে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ, এতে তাদের পয়েন্ট ৭ হাজার ৪১০ দশমিক ০৮-এর স্তরে পৌঁছায়।

এদিন ওয়াল স্ট্রিটের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ এবং ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজÑউভয় সূচক কমে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।

গত সোমবার দিন শেষে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি উইওয়ার্ক দেউলিয়ার থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আবেদন করে। এদিন তাদের শেয়ারের লেনদেন হল্টেড ছিল। বিনিয়োগকারীরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। এ কারণে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

এক সময়ে বিপুল জনপ্রিয় ছিল উইওয়ার্কের শেয়ার। বছর দুয়েক আগে এর একেকটি শেয়ারের দাম ছিল ৪০০ ডলারের বেশি, বর্তমানে যা মাত্র ১ ডলার।

এদিকে এশিয়ার ট্রেডিংয়ে পতন ও উত্থান দেখা যায়। টোকিওর নিক্কেই ২২৫ সূচক ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৩২ হাজার ২৭১ দশমিক ৮২ হয়েছে। হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক কমে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। পয়েন্ট দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৬৭০ দশমিক ১৬-তে। সাংহাই কম্পোজিট সূচক শূন্য দশমিক ১ শতাংশের বেশি কমে ৩ হাজার ০৫৭ দশমিক ২৭ হয়েছে।

চীন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অক্টোবরে তাদের আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক বছরের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। তবে রপ্তানি কমেছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। টানা ছয় মাস ধরে তাদের রপ্তানি কমেছে। এতে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে ৫৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার হয়েছে।

অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস, চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে। এ কারণে কমবে তেলের দাম।

এশিয়ার অন্য সূচকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার এসঅ্যান্ডপি/এএসএক্স ২০০ সূচক শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৯৭৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। এতে নীতি সুদহার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশে।

রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া (আরবিএ) নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে মূল্যস্ফীতির হার ২ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সবশেষ প্রান্তিকের তথ্যে দেখা যায়, এই নীতি সুফল পেয়েছে আরবিএ।

দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপি সূচক ২ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ২ হাজার ২২৩ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গত সোমমার এর সূচক বৃদ্ধি পেয়েছিল ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। তাইওয়ানের তাইয়েক্স সূচক বাড়লেও ব্যাংককের সেট ও ভারতের সেনসেক্সের পতন হয়েছে।

মঙ্গলবার ভারতের পুঁজিবাজারে ফের বিয়ারিস প্রবণতা দেখা যায়। তিন সেশনে বৃদ্ধির পর আবার বাজার বন্ধ হলো লালে। গতকাল বাজার বন্ধের সময় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সেনসেক্স প্রায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বা ১৬ দশমিক ২৯ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে হয় ৬৪ হাজার ৯৪২ দশমিক ৪০। এছাড়া ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি প্রায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বা ৫ দশমিক ০৫ পয়েন্ট নি¤œগামী হয়ে ছিল ১৯ হাজার ৪০৬ দশমিক ৭০-এ। গতকাল মূল সূচকগুলোয় পতন হলেও মিডক্যাপ এবং স্মলক্যাপ বিভাগ ছিল ঊর্ধ্বগতিতে। এদিন নিফটি মিডক্যাপ ১০০ এবং নিফটি স্মলক্যাপ ১০০-এর সূচক প্রায় শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০