গাজায় নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজায় গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলার পর এ পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের চলমান বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বেসামরিক ফিলিস্তিনির প্রাণহানি। খবর: সিএনএন।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় ১০ হাজার ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত চার হাজার

১০৪টি শিশু, ২ হাজার ৬৪১ জন নারী ও ৬১১ জন বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছেন।

তিনি বলেছেন, নিহতদের এই সংখ্যা প্রমাণ করে ইসরায়েলি হামলার শিকার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ বেসামরিক ব্যক্তি ও ঝুঁকিপূর্ণ গাজা উপত্যকার জনগোষ্ঠী।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েলের চলমান হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ হাজার ৪০৮ জন আহত হয়েছেন। তবে আহতদের মধ্যে কতজন হামাস যোদ্ধা তা এখনও নিশ্চিত নয়।

ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের সংঘাতে গত ১৫ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে গাজা। এছাড়া গত এক মাসে সেখানে যত হতাহত হয়েছে তা ২১ মাসে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের হতাহতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর বলছে, গত সপ্তাহে গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়ায় ইসরায়েলি বোমা হামলা ‘যুদ্ধাপরাধের শামিল’ হিসেবে গণ্য হতে পারে।

সব মিলিয়ে এক চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে গাজার অন্তত ২০ লাখ মানুষ। হামলা থেকে বাঁচতে সবাই দক্ষিণের পথে পা বাড়ালেও জাতিসংঘ বলছে গাজার কোনো জায়গায়ই এখন নিরাপদ নয়। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত পার হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই এই লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের। মিশরের সীমান্তঘেঁষা রাফাহ ক্রসিংও খোলা হচ্ছে শর্ত সাপেক্ষে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকটে অবরুদ্ধ গাজার লাখ লাখ মানুষ এক প্রকার মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।

এদিকে গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি হত্যা ও চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি কঠোর হওয়ার দাবিতে বিশ্বজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস গোষ্ঠীকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০