শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলি পার্লামেন্টের সামনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে একদল মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। তাদের অনেকের পরিবারের সদস্য ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে কেন্দ্র করে নিহত হয়েছেন। অনেকের পরিবারের সদস্য হামাসের কাছে জিম্মি। গত সপ্তাহেও তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছিল। খবর: বিবিসি।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া মাওজের মা-বাবা গত ৭ অক্টোবর নেটিভ হাআসারা এলাকায় হামাসের বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হন। মাওজ ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি দেয়া একটি পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন।
তিনি বলেন, সরকার আমার মা-বাবার সঙ্গে প্রতারণামূলক আচরণ করেছেন। সরকার গাজায় ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার ৪০৫ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। জিম্মি করে রাখা ২৪০ জনের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
মাওজের ৭৬ বছর বয়সী মা বিলহা নেতানিয়াহুর বিরোধী ছিলেন। মাওজের মা বিলহা ও বাবা বিক্ষোভে যাচ্ছিলেন। সে সময় তাদের হত্যা করা হয়। মাওজ বলেন, আমি এ কারণে বিক্ষোভে এসেছি। আমি এখানে বলতে এসেছিÑচলে যাও, চলে যাও।
মাওজ ও তার সঙ্গে থাকা বিক্ষোভকারীদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, হামাসের হাতে পরিবারের সদস্যরা জিম্মি থাকলে তারা কী করতেন?
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, নেতানিয়াহু পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। ইসরায়েলের পার্লামেন্টের বাইরে রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা তাঁবু বসিয়েছেন।
ফিলিস্তিনে চালানো ব্যাপক আগ্রাসন, ইসরায়েলে হামাসের হামলা, তেলআবিবের অর্থনীতিতে গোটা যুদ্ধের প্রভাব এবং এর ফলে অস্থির হয়ে ওঠা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিÑসব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতি ইসরায়েলে বাড়ছে অসন্তোষ। ইসরায়েলিদের অভিযোগ, কট্টর ডানপন্থি সরকারের ভুল পদক্ষেপে অস্থিরতা ছড়িয়েছে পুরো অঞ্চলে। ফলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক জনমত জরিপ অনুসারে, তিন-চতুর্থাংশ ইসরায়েলি নেতানিয়াহুকে আর ক্ষমতায় দেখতে চান না। দুর্নীতি মামলার পাশাপাশি আলোচিত বিচার বিভাগীয় সংস্কারের কারণেও তিনি নিজ দেশে ব্যাপকভাবে নিন্দিত।