শেয়ার বিজ ডেস্ক: পোশাককারখানায় শ্রমিক আন্দোলনে স্পষ্টত বিএনপি ও তাদের দোসরদের কালো হাত আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: বাসস
পোশাকশ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে বিএনপির উসকানি আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইন্ধন তো আছেই। এখানে পরিষ্কারভাবে বিএনপি এবং তার দোসরদের কালো হাত বিস্তৃত হয়ে আছে। তারাই উসকানি দিচ্ছে, তারাই গুজব সৃষ্টি করছে।’
তিনি বলেন, উসকানি আর গুজব সৃষ্টি করে তারা নিরীহ শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করছে। কোথায় ছিল শ্রমিকদের বেতন ৮০০ টাকা। আর সেই বেতন এখন ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এখন দেশের অবস্থাও বুঝতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার পরিষ্কার করে সেটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেখানে বিজিএমইএ’র দু’একজন নেতাও ছিলেন। তারা শুনেছেন। এ ব্যাপারে বেশিরভাগ সমাধান হয়ে গেছে। তবে কোনাবাড়ি ও আশুলিয়া, এই দুইটা জায়গায় কিছু সমস্যা আছে। আমরা মনে করি, আমাদের শ্রমিকরা বর্তমান বাস্তবতার বিষয়গুলো উপলব্ধি করে সমাধানে এগিয়ে আসবেন।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দলের আন্দোলনের নামে চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিরোধ করতে হবে এবং নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে ভিন্নমতের প্রতিকূল স্রোতের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছি আমরা। ’
তিনি বলেন, আজকে বিভিন্নভাবে সরকারবিরোধী চক্রান্ত চলছে, দেশে-বিদেশে সরকারবিরোধী তৎপরতা চলছে। ২৮ তারিখে তাদের আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিতÑএটা বলা যায়। এখন স্বাভাবিক আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর তারা অস্বাভাবিক পথে চলতে শুরু করেছে। তাদের পুরোনো রাজনীতির অভ্যাস অগ্নিসন্ত্রাসের উপাদান যুক্ত করেছে। এসব করে তারা শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য সর্বশেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে পারছে না, চোরাগোপ্তা হামলা করছে।
আওয়ামী লীগ নাশকতাবিরোধী দল উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। এমন অবস্থায় রাজপথে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে।’
জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। দ্রুতই তফসিল হয়ে যাবে। এখন দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হাতে আছে। একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি, আরেকটি কাজ হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলনের নামে চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করা এবং নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখা।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল প্রমুখ।