দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড গ্রাহকের ৯০ লাখ টাকা আত্মসাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই রায় দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন প্রাইম ব্যাংক মতিঝিল শাখার জুনিয়র অফিসার মির্জা কামরুল হাসান ও সোনালী ব্যাংক মতিঝিল লোকাল শাখার নির্বাহী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান সরকার।

কামরুল হাসানকে পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং আনিছুর রহমান সরকারকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অথদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম।

সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিসের গ্রাহক বেলহাছা একম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের হিসাব থেকে মেসার্স কামাল এন্টারপ্রাইজ নামীয় অস্তিত্বহীন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ৯০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখা থেকে এই টাকা প্রাইম ব্যাংক মতিঝিল শাখায় স্থানান্তর করা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম। এরপর ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০