১২,৫০০ টাকা মজুরি ‘গ্রহণযোগ্য’: গার্মেন্ট শ্রমিক-শিল্প ঐক্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম যে মজুরি নির্ধারণের সুপারিশ করেছে মজুরি বোর্ড, সেটিকে ‘গ্রহণযোগ্য’ বলছে ‘বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক-শিল্প ঐক্য’। ১৪টি সংগঠন নিয়ে গড়া এই মোর্চার আহŸায়ক সিরাজুল ইসলাম রনি বলেছেন, ‘এই মজুরি গ্রহণযোগ্য বলছি এ কারণেই যে, ন্যূনতম মজুরি পাবেন সহকারী শ্রমিকরা, যারা শুরুতে পোশাক কারখানায় প্রবেশ করেন। তারা সংখ্যায় ৫০ হাজারের মতো।

‘অন্যান্য শ্রমিকরা পাবেন ১৫ হাজারের মতো। শ্রমিকদের জন্য সর্বনি¤œ মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ এবং সাধারণ শ্রমিক ভাইবোনদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গতকাল রোববার সকালে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন সিরাজুল।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টশিল্প সেক্টরে নি¤œতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এক হাজার ৬৬২ টাকা থেকে ২০১০ সালে তিন হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণ করে। পরবর্তী ২০১৩ সালে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করে। ২০১৮ সালে আট হাজার টাকা নি¤œতম মজুরি নির্ধারণ করে। ২০২৩ সালে সরকার আবার নি¤œতম মজুরি বোর্ড গঠন করে; ফলে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজ নিজ ভিন্ন ভিন্ন মজুরির প্রস্তাব উপস্থাপন করে।’

এই মজুরি নির্ধারণের পর একটি মহল ভুল তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করে সিরাজুল বলেন, ‘একটি মহল শ্রমিকদের ভুল তথ্য দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে। এর ফলে নিরীহ চারজন শ্রমিক প্রাণ হারান। অনেক শ্রমিকের রক্ত ঝরে। আমরা বিশ্বাস করি, কোনো শ্রমিক তার কারখানার ক্ষতি করে রুটি-রুজির জায়গা বা কর্মস্থল ধ্বংস করতে চায় না।’

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া ও মিরপুরে বিক্ষোভ করে আসছেন পোশাক শ্রমিকরা। এর মধ্যে সরকার ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণা দিলেও শ্রমিকদের কয়েকটি অংশ মজুরি ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

বারবার একটি মহল দেশে পোশাক শ্রমিকদের কর্মস্থল ধ্বংস ও সংঘাত ছড়ায় বলে মন্তব্য করে সিরাজুল বলেন, ‘এই শিল্পে প্রায় ৪০ লাখের বেশি শ্রমিক কর্মরত। তাদের রুটি-রুজির জায়গাকে ধ্বংস এবং শ্রমিক ভাইবোনদের রক্ত ঝরায় একটি মহল। ১৯টি পোশাক শিল্পকারখানাকে ধ্বংসস্ত‚পে পরিণত করে, যা শ্রমিক আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’

‘বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক শিল্প ঐক্য’ সংগঠন তৃণমূল পর্যায়েও শ্রমিক অধিকার নিয়ে কাজ করে আসছে বলে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘শ্রমিক অধিকার ও গার্মেন্টশিল্পে নাশকতা ও শিল্পধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ।’ গত ২৯ নভেম্বর থেকে গার্মেন্টশিল্পে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের নির্দেশদাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সংগঠনটির আহŸায়ক।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০