নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী রবি ও সোমবার (২৬ ও ২৭ নভেম্বর) দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ অবরোধের ঘোষণা দেন বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল ভোরে বিএনপির ডাকা ষষ্ঠ দফার দু’দিনের অবরোধ শেষ হয়।
হামলা ও সংঘর্ষের মধ্যে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ডের প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেয় বিএনপি। এরপর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতাকেই গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফায় সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি। এরপর ১৯ ও ২০ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। তবে ২১ নভেম্বর বিরতি দিয়ে আবার গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবারে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছিল বিএনপি এবং তাদের সঙ্গে সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা দলগুলো।
গতকাল আবার নতুন করে অবরোধের ঘোষণা দিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবিতে রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত (২৬ ও ২৭ নভেম্বর) অবরোধ পালিত হবে।
রিজভী তার বক্তব্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, দেশজুড়ে বিএনপি, সহযোগী সংগঠন এবং সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন চলছে। তাদের গ্রেপ্তার চলছে নির্বিচারে। বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের পক্ষ থেকে বাসে আগুন দেয়া হচ্ছে। তাদের লোকজন ধরাও পড়ছে। কিন্তু তাদের ছেড়ে দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরে এনে দোষী প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চলছে।
রিজভী বলেন, এই জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হওয়া এখন নাগরিক দায়িত্ব। সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ আন্দোলনে শামিল হয়েছে। এই দেশে অতীতের ইতিহাসে দেখা গেছে, এখানে জুলমকারী, অন্যায়কারী বেশিদিন থাকতে পারে না।
রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনের ৪১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলায় ১৭ জন আহত হয়েছে। তিনি এসব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন।