অডি গাড়ির দামের চেয়ে শুল্ক কম, ঘোষিত মূল্যে শুল্কায়ন আইসিডিতে

দেশে আমদানি হচ্ছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি সব গাড়ি। এসব গাড়ি আমদানিতে এনবিআরের আদেশ বা নিয়ম কিছুই মানা হচ্ছে না। অস্বাভাবিক কম ইনভয়েস মূল্য ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। এতে হচ্ছে রাজস্ব ফাঁকি। শুধু কম মূল্য ঘোষণাই নয়, গাড়ির মডেল ও সিসির মিথ্যা ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। মডেলের সামান্য পরিবর্তন দেখিয়ে এইচএস কোড পরিবর্তন করা হচ্ছে। ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির এসব অনিয়ম নিয়ে তিন পর্বের ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্বে আজ থাকছে আইসিডি কমলাপুর কাস্টম হাউস দিয়ে গাড়ি আমদানির অনিয়মের চিত্র

রহমত রহমান: বিলাসবহুল অডি ই-ট্রন ৫০। বেলজিয়ামের তৈরি হলেও আমদানি হয়েছে দুবাই থেকে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রাজধানীর তেজগাঁও প্রোগ্রেসেস মোটরস ইমপোর্টস লিমিটেড। কমলাপুর কাস্টম হাউস দিয়ে আমদানি করা এই মডেলের গাড়ির মূল্য ঘোষণা দেয়া হয়েছে ৫৩ হাজার ৪২৭ ইউরো, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬৩ লাখ ৭০ টাকা। এই গাড়িতে শুল্ককর পরিশোধ করা হয়েছে প্রায় ৫৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা। শুল্ককরসহ গাড়ির মোট মূল্য দাঁড়ায় প্রায় এক কোটি ২২ লাখ টাকা। অথচ এই গাড়ি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা বা তার চেয়েও বেশি। বিলাসবহুল ব্র্যান্ড নিউ হলেও এই গাড়ির মূল্যের চেয়ে শুল্ককর কম! অথচ রিকন্ডিশন গাড়ির মূল্যের চেয়ে গাড়িতে শুল্ককর বেশি। আবার যে গাড়ি এক কোটি ২২ লাখ টাকায় আমদানি হচ্ছে, সেই গাড়িই বিক্রি হচ্ছে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা!

অর্থাৎ ঘোষিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়। এই অডি ই-ট্রন ৫০ মডেলের গাড়ি আমদানিকারক মূল্য ঘোষণা দিয়েছে প্রতিটি ৫৩ হাজার ৪২৭ ইউরো। আর আমদানিকারকের ঘোষিত মূল্যেই শুল্কায়ন করেছে আইসিডি কমলাপুর কাস্টম হাউস। এক্ষেত্রে নতুন গাড়ি শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে এনবিআরের আদেশ মানা হয়নি। নিয়ম মানা হলে এই গাড়ির শুল্কায়নযোগ্য মূল্য বৃদ্ধি পেত। শুধু অডি ই-ট্রন ৫০ নয়, অডি কিউ-৭, কিউ-৮ প্রভৃতি গাড়ির শুল্কায়নযোগ্য নির্ধারণ ও শুল্কায়নের ক্ষেত্রে আইসিডি কমলাপুর কাস্টম হাউস কোনো নিয়ম মানছে না।

শুধু অডি নয়, মার্সিডিজ বেঞ্জের বিভিন্ন মডেলের গাড়ির ক্ষেত্রেও ঘোষিত মূল্যে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। এনবিআরের আদেশ অনুযায়ী, শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ম্যানুফ্যাকচারার ইনভয়েস মূল্য অনুযায়ী শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। এক্ষেত্রে ম্যানুফ্যাকচারার ইনভয়েস না থাকলে গাড়ির প্রস্তুতকারক দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বা কমার্শিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে মূল্য যাচাই করে প্রত্যায়ন আনতে হবে। সেক্ষেত্রে কাস্টম হাউস থেকে চিঠি দিতে হবে। কিন্তু সেই নিয়মও মানা হচ্ছে না। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর অনুসন্ধান করে এই কাস্টম হাউস দিয়ে এক বছরের গাড়ি আমদানির চিত্র পর্যালোচনা করে এই চিত্র পেয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই কাস্টম হাউস দিয়ে আমদানিকারকের ঘোষিত মূল্যেই ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি শুল্কায়ন করা হচ্ছে। কোনো গাড়ির ক্ষেত্রে মূল্য যাচাই শেষে শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ করা হয় না। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৬ নভেম্বর প্রোগ্রেস মোটরস ইম্পোর্টস লিমিটেড দুবাই থেকে ৮টি অডি গাড়ি (একটি অডি কিউ-৮, সাতটি অডি ই-ট্রন ৫০) আমদানি করে। গাড়ি তৈরি হয়েছে বেলজিয়াম। অডি ই-ট্রন ৫০ প্রতি ইউনিট ঘোষণা দেয়া হয়েছে ৫৩ হাজার ৪২৭ ইউরো, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬৩ লাখ ৭০ টাকা; যাতে প্রতিটির শুল্ককর প্রায় ৫৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা। আর অডি কিউ-৮ মূল্য ঘোষণা দেয়া হয়েছে ৬১ হাজার ৫২২ ইউরো, যা বাংলাদেশি টাকায় ৭৩ লাখ ৩৫ হাজার; যাতে প্রযোজ্য শুল্ককর প্রায় ৬৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রোগ্রেসেস মোটরস ইমপোর্টস লিমিটেড আইসিডি কমলাপুর কাস্টম হাউস দিয়েছে ২০২২ সাল ও চলতি বছরের প্রায় ৮২টি বিভিন্ন মডেলের অডি গাড়ি আমদানি করেছে।

প্রতিবেদন দেখা গেছে, প্রোগ্রেসেস ২০২২ সালের ১৪ জুলাই দুবাই থেকে অডি কিউ-৭ মডেলের ৮টি গাড়ি আমদানি করে। এই গাড়ি তৈরি হয়েছে  সেøাভাকিয়া। প্রতি ইউনিট গাড়ির মূল্য ঘোষণা দেয়া হয় ৪৮ হাজার ১৯৬ ইউরো, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৭ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আমদানিকারকের ঘোষিত মূল্যেই শুল্কায়ন করে আইসিডি কমলাপুর কাস্টম হাউস। এতে প্রতি গাড়িতে শুল্ককর দেয়া হয় প্রায় এক কোটি ২ লাখ টাকা। প্রোগ্রেসেস মোটরস অডি গাড়ির সরাসরি ডিলার। প্রতিষ্ঠানটি অডি কর্তৃক সত্যায়িত ইনভয়েস ও প্রাইজ সার্টিফিকেট দাখিল করায় ইনভয়েস মূল্যকে শুল্কায়নযোগ্য মূল্য বিবেচনায় নিয়ে শুল্কায়ন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনভয়েসটি গাড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার সিস্টেমস এফজেডই, দুবাই কর্তৃক ইস্যু করা; যা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সেলস ম্যানেজার সাউথইস্ট এশিয়া রিজিয়নের একজন প্রতিনিধি দ্বারা প্রত্যায়িত। কিন্তু এই গাড়ির কান্ট্রি অব অরজিন সেøাভাকিয়া। সেক্ষেত্রে সেøাভাকিয়া হতে আমদানিকারক প্রোগ্রেসেস মোটরস ইমপোর্টস লিমিটেড বরাবর ইনভয়েস ইস্যু করা হয়নি। আবার প্রত্যায়িত ইনভয়েস নিয়েও ধোয়াসা রয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন গাড়ির শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে এনবিআরের আদেশ পালন করা হয়নি। সম্পূর্ণ নতুন বা ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি বিষয়ে ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর এনবিআর একটি আদেশ জারি করে। এর অনুচ্ছেদ-২তে বলা হয়েছে, ‘আমদানিকারক, প্রস্তুতকারকের মনোনীত ডিলার না হলে কিংবা ডিলার হলেও, প্রস্তুতকারক ব্যতীত তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হতে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে আমদানি করলে ইনভয়েসে প্রদর্শিত মূল্য, স্থানীয় বাজারে ওই পণ্যের বিক্রয় মূল্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মর্মে সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর অথবা সমপর্যায়ের কোনো যথোপযুক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক প্রত্যায়িত হতে হবে।’ কিন্তু আইসিডি কমলাপুর থেকে আমদানি করা গাড়ি খালাসের পর বাংলাদেশের জার্মান দূতাবাসে আমদানি করা অডি ব্র্যান্ডের মূল্য তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। অথচ চিঠি দেয়ার কথা ছিল জার্মানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকে। আবার বাংলাদেশে জার্মানির ব্যবসায়ী সংগঠন জার্মান চেম্বারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু গত দেড় বছরেও কোনো চিঠির জবাব আসেনি বলে কাস্টমস গোয়েন্দার একটি সূত্র জানিয়েছে। অডি গাড়ির সব চালানে দাখিল করা ইনভয়েস মূল্যে শুল্কায়ন করায় শুল্কসহ মূল্যের সাথে বাজার মূল্যের অনেক পার্থক্য রয়েছে।

অডি ছাড়াও আইসিডি দিয়ে আমদানি করা গাড়ির বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, র‌্যানকন মোটরস লিমিটেড মার্সিডিজ বেঞ্জের বিভিন্ন মডেলের গাড়ি এই কাস্টম হাউস দিয়ে আমদানি করে আসছে। অডির মতো মার্সিডিজ বেঞ্জের গাড়িও ঘোষিত মূল্যে শুল্কায়ন করা হয়েছে। গাড়ি এক দেশে তৈরি, আমদানি হয়েছে অন্য দেশ থেকে। সেক্ষেত্রে শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণে আইসিডি কাস্টম হাউস থেকে দূতাবাসে চিঠি দেয়া হয়েছে। যেমন  ২০২৩ সালে র‌্যানকন মোটরস মার্সিডিজ বেঞ্জ মাইল্ড হাইব্রিড সেডান কার আমদানি করে। ১৪৯৬ সিসির এই গাড়ির মূল্য ঘোষণা দেয়া হয় ৩৫ হাজার ৯৮৯ ইউরো, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এ মূল্যেই শুল্কায়ন করে গাড়ি খালাস দেয়া হয়। গাড়িটি জার্মানির তৈরি হলেও আমদানি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। এক্ষেত্রে মূল্য যাচাইয়ের জন্য আইসিডি জামার্নস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে চিঠি দিয়েছে। একই আমদানিকারক যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৯৯৯ সিসির মার্সিডিজ বেঞ্জ মাইল্ড হাইব্রিড এসইউভি আমদানি করে। মূল্য ঘোষণা দেয় ৬৯ হাজার ৩৭২ ইউরো, আর এই মূল্যেই শুল্কায়ন করা হয়েছে। এছাড়া এ আমদানিকারকের মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের অন্যান্য মডেলের ক্ষেত্রেও ঘোষিত মূল্যে শুল্কায়ন করা হয়েছে। আমদানিকারক এক্সিকিউটিভ মোটরস লিমিটেড চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুর থেকে বিএমডব্লিউ প্লাগ ইন হাইব্রিড সেডান কার আমদানি করে। জার্মানির তৈরি ১৯৯৮ সিসির এই গাড়ির মূল্য ঘোষণা দেয় ৪৬ হাজার ২৬৮ ডলার, যা এই মূল্যেই শুল্কায়ন হয়। এছাড়া চেরি ব্র্যান্ডের গাড়ির ক্ষেত্রেও শুল্কায়নের ক্ষেত্রে অনিয়ম হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

আইসিডি কমলাপুর কাস্টম হাউস দিয়ে ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির ক্ষেত্রে অনিয়ম

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানিকারক যে ইনভয়েস দেয়, তাতে ছোট্ট একটি সিল থাকে। দাবি করা হয়, এটি গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের প্রত্যায়িত ইনভয়েস। তবে চিঠি দেয়ার পরও এটি প্রমাণ পায়নি কাস্টম হাউস বা কাস্টমস গোয়েন্দা। এই কাস্টম হাউস দিয়ে কনটেইনার বাহিত একটি গাড়ির ফ্রেইট চার্জ দেখানো হতো ৩০০ থেকে ৫০০ ডলার। যেখানে ফ্রেইট চার্জ ছিল আড়াই থেকে ৩ হাজার ডলার; যা বর্তমানে ন্যূনতম ২ হাজার ডলার হিসাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে। জাপান ব্যতীত অন্যান্য দেশ থেকে আমদানিকৃত গাড়ির ম্যানুফ্যাকচারার ইনভয়েস না থাকলে প্রকৃত মূল্য তথ্য পাওয়া যায় না। তবে গ্লাস গাইড বা ওয়েবসাইট ভ্যালু না থাকলে বাজারমূল্যের ভিত্তিতে শুল্কায়ন যৌক্তিক ছিল। গাড়ি প্রস্তুতকারক দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে মূল্য যাচাইয়ের কথা থাকলেও আইসিডি থেকে পত্র দেয়া হয়েছে ঢাকাস্থ বিদেশি দূতাবাসে, যাতে প্রকৃত মূল্য তথ্য পাওয়া যায়নি। ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস মূল্য কিছুটা ঠিক করেছে। কিন্তু আইসিডি মূল্য ঠিক করেনি।

এই বিষয়ে কাস্টমস গোয়েন্দার একজন কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে বলেন, আমদানিকারকের ঘোষিত মূল্যেই শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। চিঠি দেয়ার কথা গাড়ি যে দেশে তৈরি হয়েছে সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসকে। যাতে মূল্য যাচাই করতে পারে। চিঠি দেয়া হয় বাংলাদেশে অবস্থিত জার্মান দূতাবাস ও জার্মান চেম্বারকে। গত দেড় বছরে একটি চিঠির জবাব আসেনি বলে জেনেছি। এনবিআর নতুন গাড়ির শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণের আদেশ জারি করেছে। কিন্তু আইসিডি কমলাপুর ও মোংলা কাস্টম হাউস তা মানছে না। তিনি বলেন, গাড়ি তৈরি হচ্ছে এক দেশে, এলসি করে আসছে আরেক দেশ থেকে। যে দেশে তৈরি হচ্ছে, সে দেশ থেকে আমদানি হলে খরচ কম হওয়ার কথা। কিন্তু গাড়ি তৈরি হচ্ছে বেলজিয়াম, আমদানি হচ্ছে দুবাই থেকে। আবার ম্যানুফ্যাকচারার ইনভয়েস নিয়েও ঝামেলা রয়েছে। এতে আন্ডার ইনভয়েসিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ ইউরোপের দেশ থেকে এলসি হলে আন্ডার ইনভয়েসিং হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু অন্য দেশ থেকে আমদানি হলে সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে এনবিআরকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

অন্যদিকে, দুবাই থেকে আমদানি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রোগ্রেসেস মোটরস ইমপোর্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (অ্যাডমিন) আবদুস সালাম। তিনি বলেন, আমাদের কোনো গাড়ি দুবাই থেকে আসে না। সব জার্মানি থেকে শিপমেন্ট। অডি থার্ড কোনো কান্ট্রি থেকে শিপমেন্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের যা ইমপোর্ট হয়েছে সব জার্মানি থেকে ইমপোর্ট হয়েছে। যদিও আইসিডি কমলাপুর কাস্টম হাউস দিয়ে আমদানি করা এই আমদানিকারকের বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী, এ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ গাড়ি দুবাই থেকে শিপমেন্ট হয়েছে। প্রস্তুতকারক দেশ বেলজিয়াম ও সেøাভাকিয়া।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০