ইসরায়েলি সেটেলারদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ইইউ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংস ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের (সেটেলার) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এছাড়া পশ্চিম তীরে চরমপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতায় ইইউ উদ্বিগ্ন বলেও জানিয়েছে ব্লকটি। খবর: আল জাজিরা।

মূলত সহিংস ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করার ঘোষণা দেয়ার পর ইইউয়ের পক্ষ থেকে এমন ভাবনার কথা সামনে এলো।

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংস ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করবেন বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির এই প্রধান কর্মকর্তা গত সোমবার বলেছেন, পশ্চিম তীরে চরমপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতায় ইইউ উদ্বিগ্ন এবং তারা জেরুজালেমে আরও এক হাজার ৭০০ আবাসন ইউনিট অনুমোদনের বিষয়ে ইসরায়েলি সরকারের সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে। একই সঙ্গে ব্রাসেলস একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মনে করে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বোরেল সাংবাদিকদের বলেন, কথা থেকে কাজে যাওয়ার সময় এসেছে এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে আমরা যে ব্যবস্থা নিতে পারি, তা গ্রহণ করা শুরু করার সময় এসেছে।

জাতিসংঘের মতে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণ দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যে আগ্রাসন চলছে, তার সঙ্গে পশ্চিম তীরে তাল মিলিয়ে চলা অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৭৫ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে কমপক্ষে ৬৩ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া অভিযানে আরও তিন হাজার ৩৬৫ জন আহত হয়েছেন।

অবশ্য বোরেল বলছেন, তার এই প্রস্তাবিত ব্যবস্থা সম্পর্কে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সম্পূর্ণভাবে উৎসাহী নন। তবে এরপরও তিনি ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণে জড়িত প্রধান প্রধান বসতি স্থাপনকারীদের একটি তালিকা তৈরি করতে ইইউ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করবেন।

ইইউ পররাষ্ট্রনীতির এই প্রধান এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব জমা দেননি। তবে তিনি বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরামর্শ দেবেন তিনি।

বোরেল নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি। তবে ইইউ কর্মকর্তারা বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইইউতে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। তবে এই ধরনের পদক্ষেপ নেয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও হাঙ্গেরির মতো ইসরায়েলের কট্টর মিত্র দেশগুলোর কিছু কূটনীতিক।

এর আগে গত সপ্তাহে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংস হামলায় জড়িত বসতি স্থাপনকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অন্যদিকে ফ্রান্স গত মাসে বলেছে, তারাও এই ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা বিবেচনা করছে। বেলজিয়াম বলেছে, তাদের দেশে বসতি স্থাপনকারীদের নিষিদ্ধ করা হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০