নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে রাজধানীর পৃথক দুই থানায় দায়ের হওয়া ১০টি মামলার জামিন আবেদন গ্রহণ করেননি আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
এই ১০ মামলার মধ্যে পল্টন থানার সাতটি এবং রমনা মডেল থানার তিনটি মামলা রয়েছে। এসব মামলার এজাহারে নাম থাকলেও মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে অন্য আরেক মামলায়।
বুধবার বিকালে জামিন আবেদনগুলো শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আদালত বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার না দেখানো পর্যন্ত জামিনের আবেদন শুনানির এখতিয়ার আদালতের নেই।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘পৃথক দুই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ও মো. শফিউদ্দিন এসব কথা বলেন।’
সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। সে মামলায় সিএমএম কোর্ট এবং দায়রা আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন। এরপর আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছি। আমরা আশঙ্কা করছি যে, ওই মামলায় হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করলে রাষ্ট্রপক্ষ গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করতে পারে, যাতে আরও দীর্ঘদিন তাকে কারাগারে রাখা যায়। তাই আমরাই জামিনের আবেদন করেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আদালত বলেছেন, এ পর্যায়ে শুনানি গ্রহণ ও আদেশ দেয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। তাই এখন আমরা হাইকোর্টে যাব।’
গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে ঢাকার সিএমএম আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। ২৯ অক্টোবর আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে ২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। ২২ নভেম্বর আবেদনটি নামঞ্জুর করেন আদালত। এরপর হাইকোর্টে মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে ৭ ডিসেম্বর রুল দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
