নিজস্ব প্রতিবেদক : সূচকের উত্থান-পতনে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। গতকাল বাজারটিতে লেনদেন হয় ৪৮১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর আগের দিন সপ্তাহের সর্বোচ্চ লেনদেন হয়। সেদিন লেনদেন হয় ৭৬৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলোয় লেনদেন পাঁচ শতকের ঘরে ছিল। লেনদেনে ছন্দপতন হলেও, দিনের লেনদেন শেষে সূচক ধনাত্মক ছিল। গতকাল খাতভিত্তিক লেনদেনে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। এ খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বা ৯০ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ খাতের ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে মাত্র ৭টি প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ১৭ দশমিক ১৯ শতাংশ বা ৭৮ কোটি টাকা। এ খাতের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে মাত্র ৬টি প্রতিষ্ঠানের। বস্ত্র খাতের লেনদেন হয়েছে ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ বা ৬২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এ খাতের ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে মাত্র ৭টি প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া অন্য খাতগুলো এককভাবে ১০ শতাংশের বেশি লেনদেন করতে পারেনি। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাড়ার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কমেছে। বাজারটিতে শেয়ারদর কমেছে ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের। শেয়ারদর কমেছে ১১১টির এবং ১৬৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৫ এবং ভালো ৩০টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠিত সূচক ডিএসই-৩০ ১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১৬ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৩৮টির। শেয়ারদর কমেছে ৫৩টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।