নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে বিমা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় পতন হয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া এই খাতের ৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৭টি বা ৯০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কমেছে। বেড়েছে একটির আর অপরিবর্তিত রয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। এদিন বিমা খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের মাত্র ছয় শতাংশ বা ৩৬ কোটি তিন লাখ টাকা। এদিন সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া তিন খাতের মধ্যে রয়েছে বস্ত্র, প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাত। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ২২ দশমিক ৪২ শতাংশ বা ১৩২ কোটি চার লাখ টাকা। এ খাতে ১২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়ার বিপরীতে কমেছে ১০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। প্রকৌশল খাতের লেনদেন হয় ১৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ১০৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। শেয়ারদার বেড়েছে মাত্র চারটি প্রতিষ্ঠানের, কমেছে ১২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ১৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ বা ৯৮ কোটি তিন লাখ টাকা। শেয়ারদর বেড়েছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের, কমেছে সাতটির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এছাড়া দর বাড়েনি টেলিযোগাযোগ, চামড়াশিল্প, সেবা ও আবাসন, সিরামিক, কাগজ ও মুদ্রণ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং ভ্রমণ ও আবাসন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর।
সার্বিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ২৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক এক পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক পাঁচ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১৩৬২ ও ২১০১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে ৬২৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৪৩ কোটি টাকার লেনদেন বেড়েছে। আগের দিন ডিএসইতে ৪৮১ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।
ডিএসইতে ৩৫১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৩টি কোম্পানির, কমেছে ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।
অপর শেয়ারবাজার এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন আট পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৫৭৪ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাতবদল হওয়া ১৯২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ৫৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৯২টির কোম্পানির শেয়ারদর। সিএসইতে ১০ কোটি ৯৪ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে, যেক্ষেত্রে আগের দিনের চেয়ে লেনদেন ১৯ লাখ টাকা বেড়েছে। আগের দিন ১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল।