নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলনসহ অতিরিক্ত নাশকতা, আতঙ্ক ও শঙ্কা তৈরির এক ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। অন্যান্য ভোটে একমুখী সমস্যা থাকে। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন। তাদের আচরণবিধি মানতে বাধ্য করা হয়। এবারের নির্বাচনে নাশকতা, সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টির পাশাপাশি অতিরিক্ত সমস্যা হলো বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন। একটি বা দুটি রাজনৈতিক দলের প্রোগ্রাম সামনে রেখে এমন নাশকতার পরিবেশ হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশ এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
রেলে নাশকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত অক্টোবরের ২৮ তারিখের পর থেকে এখন পর্যন্ত জ্বালাও-পোড়াও প্রভৃতি নানা ধরনের নাশকতা চালানো হচ্ছে। বেশিরভাগই কিন্তু পুলিশ উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। বাকি যারা আছে তারা আশা করি আইনের আওতায় আসবে। এগুলো যেন ভবিষ্যতে ঘটতে না পারে সে জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছে। রেলে যেন আর নাশকতা না হতে পারে এজন্য আনসারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সকালে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কোনো আপত্তি রয়েছে কি নাÑজানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করছে তারা সবাই এটি মেনে নিয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট জিনিস আগের দিন কেন্দ্রে পাঠানো হবে। কেবল ব্যালট পেপারটি সকালবেলা পৌঁছানো হবে। সেজন্য নির্বাচন কমিশন কিছু গ্রাউন্ড ড্রাফট করেছে। কিছু উপনির্বাচন হয়েছে সেখানে তারা এই পরীক্ষাগুলো চালিয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চল হাওর অঞ্চলÑএসব প্রতিকূল এলাকার বিষয়ে আলাদা ডিসিশন রয়েছে। সেভাবে সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশা করি, এতে কোনো সমস্যা হবে না। সবার সম্মিলিত প্রয়াস থাকলে সামনে যে ভোট যুদ্ধ সেটি সফল হবে।
বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, ডিসি, জেলা পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন।
