নিজস্ব প্রতিবেদক: ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে বিক্রির জন্য ১৫৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার রাইস ব্রান অয়েল ও মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৬২ কোটি ২৮ লাখ টাকার মসুর ডাল এবং ৯৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার ভোজ্যতেল রয়েছে। গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৬০ লাখ লিটার রাইস ব্রান অয়েল কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মজুমদার প্রোডাক্ট লিমিটেড ও এমআরটি এগ্রো প্রোডাক্ট বিডি লিমিটেডের কাছ থেকে এই তেল কিনতে খরচ হবে ৯৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা।
অন্যদিকে তেল কেনার প্রস্তাবের পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য ছয় হাজার ৫০০ মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবও অনুমোন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। চট্টগ্রামের ইসলাম ট্রেডিং থেকে এই ডাল কিনতে মোট খরচ হবে ৬২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়বে ১০৩ দশমিক ৮ টাকা।
অপরদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও সিঙ্গাপুর থেকে এক লাখ টন গম আমদানির দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ গম কিনতে ব্যয় হবে প্রায় ৩৫৯ কোটি টাকা।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, আন্তর্জাতিক উš§ুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেরাল ক্রপস ট্রেডিং থেকে ৫০ হাজার টন গম আমদানি করা হবে। প্রতি কেজি ৩৫ টাকা এক পয়সা দরে ১৭৫ কোটি টাকার ক্রয় প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়েছে। অবশ্য আগের লটে প্রতি কেজির দাম ছিল ৩২ টাকা ৫৯ পয়সা।
এছাড়া খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের এ্যাগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনাল থেকে আরও ৫০ হাজার টন গম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা ৬৮ পয়সা দরে ব্যয় হবে ১৭৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
