শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলি বাহিনী গত বুধবার থেকে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে গাজার মধ্যাঞ্চলে হামলা চালানো শুরু করেছে। এরপর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আরও নিহতের খবর দিয়েছে। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার হাজার হাজার নাগরিক পালানোর চেষ্টা করছে। খবর: রয়টার্স।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার ইসরায়েলি সংকল্পের প্রতিফলন ঘটেছে এই হামলায়।
ইসরায়েলের সামরিক প্রধান হার্জি হালেভি বলেছেন, যুদ্ধ কয়েক মাস স্থায়ী হবে। তিনি বলেন, একটি সন্ত্রাসী সংগঠনকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে অন্য কোনো সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি ছিল না। ইসরায়েল উত্তরের প্রতিবেশী লেবাননের আন্তঃসীমান্ত হামলার প্রতিক্রিয়া আরও জোরদার করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের আল-আমাল হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
মধ্য গাজার আল-মাগাজি জেলায় একটি বিমান হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে গাজা সিটির উত্তরাঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে নিহত সাত ফিলিস্তিন নাগরিকের মরদেহ আল শিফা হাসপাতালে পৌঁছেছে। মধ্য গাজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের দিকে আল-বুরেইজ ও আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরের পূর্বদিকে ইযরায়েলি ট্যাংকের আক্রমণ আরও তীব্র হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজায় অভিযানে আরও তিনজন সেনা নিহত হয়েছে। ফলে ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে মোট ১৬৬ ইসরায়েলি সেনা নিহত হলো।
ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজার প্রায় ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন বা ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে হিজবুল্লাহ বুধবার এক দিনে সবচেয়ে বেশি রকেট ও অস্ত্রবাহী ড্রোন হামলা করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো লেবাননে হিজবুল্লাহর সামরিক স্থাপনা এবং অন্যান্য অবস্থানকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। মন্ত্রী বেনি গান্টজ বলেছেন, পরিস্থিতি অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের ওপর আক্রমণ ঠেকাতে এবং সীমান্ত থেকে হিজবুল্লাহকে সরাতে বিশ্ব ও লেবানন সরকার যদি পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আইডিএফের ব্যবস্থা করবে।
আইডিএফ বলেছে, তারা গাজার বেশ কয়েকটি এলাকায় কাজ করছে। বিশেষ করে আল-বুরাইজ ও খান ইউনিসের আশপাশে যেখানে হামাসের ঘাঁটি রয়েছে। আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, আমরা আমাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছি। আজ আমরা আরেকটি ব্রিগেড যোগ করেছি। আমরা সেখানে নতুন সামরিক কৌশল ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।