প্রতিনিধি, রাজশাহী : ১৫ জানুয়ারি পেরিয়ে গেলেও এখনও সব বই হাতে পায়নি রাজশাহী জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। অথচ গত ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এবারের শ্রেণি কার্যক্রম। রাজশাহী জেলায় ২৫ শতাংশ বই ছাড়াই চলছে নতুন বছরের পাঠদান। পুরো জেলাতে চাহিদার বিপরীতে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে বই পৌঁছেছে ৭৭ ভাগ। জেলাজুড়ে বিভিন্ন শ্রেণির ৩৩ শতাংশ বই এখন বাকি রয়েছে। তবে জেলা শিক্ষা অফিস বলছে, বই যা এসেছে, তাই বিতরণ করা হয়েছে। আরও বই আসছে। কত ভাগ এসছে তা এখনও সঠিক জানা যায়নি।
জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে জেলায় মোট বইয়ের চাহিদা ছয় লাখ ৬৪ হাজার ৩৩০। গত ১৫ দিনে চাহিদার বিপরীতে বই পেয়েছি ছয় লাখ তিন হাজার ৩০। এখনও পৌঁছায়নি ৯ শতাংশ বই। এর মধ্যে সবচেয়ে কম বই পেয়েছে মতিহার থানা। এ থানায় চাহিদা ছিল ৮২ হাজার ৫০০। বর্তমানে বই পেয়েছে ৪১ হাজার।
সপ্তম শ্রেণিতে জেলায় মোট বইয়ের চাহিদা ছয় লাখ ৮৬ হাজার ৬৮০। গত ১৫ দিনে জেলার বই পেয়েছে ছয় লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৫ জন। এখনও পৌঁছায়নি সাত শতাংশ বই। এর মধ্যে জেলার পুঠিয়া, বাগমারা ও চারঘাট উপজেলায় ২১ শতাংশ বই এখনও আসেনি।
অষ্টম শ্রেণিতে জেলায় মোট বইয়ের চাহিদা ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৯৯০। গত ১৫ দিনে বই পেয়েছে পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ৬১০ জন। এখনও পৌঁছায়নি ২৩ শতাংশ বই। এর মধ্যে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা ৪৩ শতাংশ বই এখনও আসেনি। এ উপজেলার চাহিদা ছিল ৫৬ হাজার ৭০০টি। বর্তমানে বই পেয়েছে ৩২ হাজার ৪০০ জন।
৯ম শ্রেণিতে জেলায় মোট বইয়ের চাহিদা ছয় লাখ ৮৯ হাজার ২১৫। গত ১৫ দিনে বই পেয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৯২০ জন। এখনও পৌঁছায়নি ২৩ শতাংশ বই। এর মধ্যে সবচেয়ে কম বই পেয়েছে বাগমারা উপজেলার শিক্ষার্থীরা। উপজেলার ৬৫ শতাংশ বই এখনও আসেনি। এ উপজেলার চাহিদা ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৫০০। বর্তমানে বই পেয়েছে ৪৯ হাজার ৪০০।
বাগমারার মাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, বেশ কিছু বই এখনও হাতে পাইনি। বিশেষ করে অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই বাকি রয়েছে।
রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. নূরজাহান বেগম বলেন, আমাদের এখানে মাঝে মাঝেই বই আসছে। সেগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। তবে এখনও অষ্টম ও নবম শ্রেণির দুই থেকে তিনটি করে বই বুঝে পাইনি।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন বলেন, আমরা যা বার্তা পেয়েছিলাম, তাতে ১৫ তারিখের মধ্যেই সব বই চলে আসার কথা। এখন যেটুকু এসেছে সেটুকুই। বাকি বই আসছে। তবে জেলার মোট কত শতাংশ বই এসেছে, সেটি জেনে জানাতে হবে। কিছু দিনের মধ্যেই সব বই চলে আসবে বলে জানান তিনি।
