শেয়ার বিজ ডেস্ক: পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোয় সুইডেনের সদস্য হওয়ার উদ্যোগে তুরস্কের পক্ষ থেকে বাধা নেই। বরং টানা চার ঘণ্টার বিতর্কের পর ন্যাটোয় সুইডেনকে নিতে রাজি হয়েছেন তুরস্কের আইনপ্রণেতারা। খবর: আল জাজিরা।
গত মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি বিল তুরস্কের পার্লামেন্টে পাস হয়েছে। বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন তুরস্কের ২৮৭ জন আইনপ্রণেতা। বিপক্ষে ছিলেন ৫৫ জন। আর চারজন আইনপ্রণেতা ভোট দেননি।
এখন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান স্বাক্ষর করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে। তখন সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য হতে তুরস্কের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আর কোনো বাধা থাকবে না। এর মধ্য দিয়ে তুরস্কের পক্ষ থেকে টানা ২০ মাসের প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে যাবে।
তুরস্কের পার্লামেন্টে ভোটাভুটির পর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন এক্স বার্তায় বলেছেন, সামরিক জোটভুক্ত হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল সুইডেন।
এর আগে সুইডেন কয়েক দশকের সামরিক নিরপেক্ষতা প্রত্যাহার করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোয় যোগ দিতে উদ্যোগ নেয়। এমন উদ্যোগ নেয় ফিনল্যান্ডও। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেশ দুটি এমন পদক্ষেপ নেয়। ফিনল্যান্ডের বিষয়ে মানা না করলেও সুইডেনের ন্যাটোভুক্ত হওয়ার উদ্যোগে আপত্তি জানায় তুরস্ক।
গত বছর রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, প্রতিবেশী সুইডেনকে বাদ দিলে ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোয় মেনে নিতে পারে তার দেশ।
সুইডেনের প্রতি বিরূপ মনোভাব রয়েছে আঙ্কারার। কুর্দি বিদ্রোহী হিসেবে সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে হস্তান্তর করতে রাজি হয়নি সুইডেন। ২০১৬ সালে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার কারণেও ক্ষুব্ধ আঙ্কারা।
এরদোয়ান বলেন, যদি সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দিতে চায়, তাহলে এসব সন্ত্রাসীদের হস্তান্তর করতে হবে। ফিনল্যান্ডের চেয়ে সুইডেনে কুর্দি সম্প্রদায়ের সংখ্যা বেশি। আঙ্কারার সঙ্গে কুর্দিরা ছাড়াও আরও বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধ রয়েছে সুইডেনের।
আঙ্কারার দাবি মেনে সন্ত্রাসবিরোধী আইন কঠোর করতে সংবিধানে সংশোধনী আনার বিষয়টি অনুমোদন করেছে সুইডেন। সুইডেন ও ফিনল্যান্ড দুই দেশই তুরস্কে সেনাসরঞ্জাম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। ২০১৯ সালে সিরিয়ায় সেনা অভিযানের পর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।