নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন রমজানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ডিম, মুরগি ও মাংস বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেছেন, গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও ভ্রাম্যমাণভাবে প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে; যাতে স্বল্প আয়ের মানুষ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী উপকার পায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং পরিপ্রেক্ষিতের যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত: সমস্যা সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, এখনও বাজারে পর্যাপ্ত মাছ, মুরগি, ডিম ও দুধের সরবরাহ থাকলেও দাম অনেকেরই ক্রয়ক্ষমতার থেকে বেশি। কারণ সবকিছুর উৎপাদন বেড়েছে, তেমনি এর সঙ্গে নৈতিক অধঃপতনও বেড়েছে। মধ্যস্বত্বভোগীরা মুনাফা লুটে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, উৎপাদনকারীদের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার অধিকার আছে। আবার ক্রেতাদেরও সঠিক দাম পাওয়ার অধিকার আছে। অথচ ৫ টাকার ফুলকপি ঢাকায় এনে ৬০ টাকা বিক্রি হয়। এসব মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে। তাদের আকাক্সক্ষার জিহ্বা টেনে ধরতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত এতদূর আসার পেছনে সবার অংশগ্রহণ ছিল। মৎস্য ও প্রাণী উৎপাদনের উপকরণগুলো যেমন খাদ্য ও ওষুধের দাম কমানো গেলে উৎপাদন খরচ কমে আসবে। তাহলে ভোক্তা কম দামে খেতে পারবে। রমজানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতসংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর দাম কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তার জন্য আমরা স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বসেছি। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি, দাম যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে।