নিজস্ব প্রতিবেদক: অনুমোদিত মূলধন বাড়িয়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি জাহিন স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কোম্পানিটি ১০০ কোটি টাকা থেকে ৪০০ কোটি টাকা মূলধন বাড়িয়েছে। কোম্পানিটি ৩০ কোটি সাধারণ শেয়ার ও ১০ কোটি প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন বাড়িয়েছে। কোম্পানির প্রতিটি সাধারণ শেয়াররের মূল্য ১০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এর আগে গত ১৫ জুন কোম্পানি বিশেষ সাধারণ সভায় অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি রেজিস্টার জয়েন্ট স্টক কোম্পানি (আরজেসি) অনুমোদন দিয়েছে।
২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩৯ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৪ টাকা সাত পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৫ অক্টোবর সকাল ৯টায় সুগন্ধা কমিউনিটি সেন্টার, প্লট-৭৫/এ, রোড-৫/এ, সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি ১:১ অনুপাতে রাইট শেয়ার ইস্যু করবে, অর্থাৎ একটা সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইটের জন্য আবেদন করা যাবে। রাইট ইস্যুর জন্য ৯ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ সাধারণ শেয়ার ছাড়বে। প্রতিটি শেয়ারের ইস্যুমূল্য ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাইট ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৯৮ কোটি ৫৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। শেয়ারের মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা কয়েকটি কাজে ব্যয় করবে বলে নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৭৬ কোটি ছয় লাখ ২৭ হাজার টাকা বিদ্যমান প্রকল্প প্রসারে ব্যয় করা হবে। ১৫ কোটি টাকা ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে রাখা হবে। মেয়াদি ঋণ পরিশোধে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এছাড়া রাইটের কাজে ব্যয় করার জন্য এক কোটি ৯৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল শেয়ারদর দুই দশমিক ৭১ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২১ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২১ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৮টি শেয়ার মোট ৩০৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৩২ লাখ ৯২ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২২ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২৯ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ বোনাস শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৯৭ পয়সা এবং এনএভি হয়েছে ১৪ টাকা ৫৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী আয় করেছে ১৪ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
২০১৪ সালে ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৩৬ পয়সা এবং এনএভি ১২ টাকা ৯৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৫৬ পয়সা ও ১১ টাকা ৪৯ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে সাত কোটি ২০ লাখ টাকা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল দুই কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৫৩ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে তিন কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রন্তিকে ইপিএস হয়েছে ৪২ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে তিন কোটি ৫৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যেক্ষেত্রে প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা এবং ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল দুই কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট আট কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে ৩১ দশমিক ১০ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ২৭ দশমিক ১৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪১ দশমিক ৭২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
Add Comment