শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার খান ইউনিসে হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। সংঘর্ষের কারণে সেখানকার নাসের হাসপাতাল এরই মধ্যে পুরোপুরি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। খবর: আল জাজিরা।
কয়েক দিন ধরে খান ইউনিসে অব্যাহত বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাছাড়া আল-দাহারা এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ হাজার ৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৪৮৭ জন। তাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
অন্যদিকে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। গত শুক্রবারের রায়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে, তার বাহিনী গাজায় আর গণহত্যা চালাবে না এবং গণহত্যার প্রমাণ সংরক্ষণ করবে। গাজা উপত্যকায় গণহত্যা নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলার রুল জারি করেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। এতে গাজায় গণহত্যা বন্ধে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইসরায়েলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে গাজায় ইসরায়েলকে তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ আদালত দেননি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তাদের হামলায় এক হাজার ১৪০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। জিম্মি রয়েছেন আরও অনেকে, যাদের কয়েকজনকে এরই মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। হামাসের কব্জায় থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের উদ্ধার এবং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি সম্পাদনে মধ্যস্থতা করার জন্য এবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র প্রধান উইলিয়াম বার্নসকে পাঠাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইউরোপে এ ইস্যুতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠকে
উপস্থিত থাকবেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়া, মিসরের গোয়েন্দা
সংস্থার প্রধান আব্বাস কামেল এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী আবদুল রহমান আল থানি। তবে কবে এবং ইউরোপের কোথায় সেই বৈঠক হবে, তা জানাননি মার্কিন কর্মকর্তারা।
