শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলায় ইউএনআরডব্লিউএ’র কিছু কর্মচারী জড়িত বলে ইসরায়েল অভিযোগ করার পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ আটটি দেশ এই সংস্থাটিতে অর্থায়ন স্থগিত করে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। খবর: আল জাজিরা।
সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ ল্যাজারিনি মর্মন্তুদ এই সিদ্ধান্ত আরেকবার ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন দাতা দেশগুলোর কাছে। তিনি বলেন, গাজার ২০ লাখের বেশি মানুষ জীবনধারণের জন্য এই ত্রাণ সংস্থার ওপর নির্ভরশীল। মাত্র গুটিকয়েক কর্মীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কারণে সংস্থাটির জন্য তহবিল বন্ধ করাটা বেদনাদায়ক। বিশেষ করে যেখানে ইউএনআরডব্লিউএ তাদের এই কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের উদ্যোগ নিচ্ছে।
ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, তারা অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে এবং অভিযোগ ওঠা কর্মীদের এরই মধ্যে বরখাস্ত করেছে।
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই ইউএনআরডব্লিউএ এবং জাতিসংঘের অন্যান্য শাখার বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতা ও ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে আসছে। তারা নতুন করে ওই অভিযোগ তোলার পর যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও কানাডা তহবিল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৯ সালে। গাজায় এটিই সবচেয়ে বড় জাতিসংঘ সংস্থা। গাজার ফিলিস্তিনিসহ পশ্চিম তীর, জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়াতেও স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও অন্যান্য মানবিক ত্রাণকাজ করে থাকে সংস্থাটি। গাজায় এ সংস্থার প্রায় ১৩ হাজার কর্মী রয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউএনআরডব্লিউএ সেখানে তাদের স্থাপনাগুলোয় হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে।
ল্যাজারিনি বলেন, মাত্র কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগের কারণে একটি সংস্থা এবং এর পরিষেবার আওতায় থাকা একটি গোটা সম্প্রদায়কে নিষেধাজ্ঞায় ফেলা, বিশেষ করে এই যুদ্ধের সময়ে খুবই দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাপার।