শেয়ার বিজ ডেস্ক: অপ্রাপ্তবয়স্কদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে একবার ব্যবহারযোগ্য (ডিসপোজেবল) ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। খবর: বিবিসি।
যুক্তরাজ্যের সরকারি পরিসংখ্যান দপ্তর এবং অলাভজনক সংস্থা অ্যাকশন অন স্মোকিং অ্যান্ড হেলথের (অ্যাশ) তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে যেখানে ৪ দশমিক ১ শতাংশ কিশোর-কিশোরী ধূমপানে আসক্ত ছিল, ২০২৩ সালে তা বেড়ে পৌঁছেছে প্রায় ৭ দশমিক ৬ শতাংশে।
দেশটিতে ১৮ বছরের কম বয়সীদের কাছে ভ্যাপ বিক্রি নিষিদ্ধ। তবে সরকার বলেছে, একবার ব্যবহারযোগ্য ভ্যাপগুলো আকারে ছোট, রঙিন প্যাকেট এবং রিফিল করা যায় বলে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এর ব্যবহার আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যে যারা ধূমাপনমুক্ত সমাজ গড়ার আন্দোলনে যুক্ত, তাদের অনেকের মতে জনগণকে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য থেকে দূরে রাখতে প্রাথমিকভাবে ই-সিগারেট বা ভ্যাপ বেশ কার্যকর। কিন্তু বারবার ব্যবহারযোগ্য ই-সিগারেটের পরিবর্তে যে হারে ডিসপোজেবল ই-সিগারেট ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে তারাও উদ্বেগ বোধ করছেন।
গতকাল সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের দপ্তর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমনকি যেসব প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ-তরুণী ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে, আমরা তাদেরও ধীরে ধীরে ধূমপানমুক্ত জীবনে ফিরিয়ে আনতে চাই। এ কারণে শিগগির এ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের ধূমপানের আসক্তি রোধ করতে ২০২৩ সালের অক্টোবরে একটি আইন জারির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন ঋষি সুনাক। ঘোষণায় তিনি বলেছিলেন, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি এবং তারপরে যাদের জন্ম হয়েছে, তাদের কাছে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা হবে। কিন্তু সেই আইনের পুরোপুরি বাস্তবায়ন এখনও হয়নি। ধূমপায়ীর সংখ্যাও কমেনি।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ই-সিগারেট প্রস্তুতকারী ব্রিটিশ উদ্যোক্তাদের সংগঠন ইউকে ভ্যাপিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিশেন। উদ্যোক্তারা বলেছেন, জনগণকে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য থেকে দূরে রাখতে ই-সিগারেট যে কার্যকর তা এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। সরকার এই কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে ২০২৪ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটের ক্ষেত্রে তার ফল ভুগতে হবে বলে হুমকিও দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।