শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্বিচার হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২৭ হাজারে পৌঁছেছে। এ সময় আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৬ হাজারে। খবর: আল জাজিরা।
এক বিবৃতিতে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পাল্টা হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৯০০ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৯৪৯ জন।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সে হামলা এখনও অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলি এ হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। তাদের আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ এবং গির্জাও। এ হামলায় এখন পর্যন্ত হাজার হাজার ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নির্বিচার এই ইসরায়েলি আক্রমণ ১১৮তম দিন পার করেছে।
জাতিসংঘের মতে, খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যেই গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া ভূখণ্ডটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে খোলা আকাশের নিচে থাকছেন বেশিরভাগ মানুষ। এমনকি অঞ্চলটিতে প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় ১৬টি ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে। এতে ১৫০ জন নিহত এবং আরও ৩১৩ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না বলেও এতে জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলা শুরু হওয়ার পর মাঝে হামাসের সঙ্গে এক সপ্তাহব্যাপী মানবিক বিরতির পর গত ডিসেম্বরের শুরু থেকে গাজা উপত্যকায় পুনরায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিরতির পর শুরু হওয়া এই অভিযানে গাজায় হামলা আরও তীব্র করে দখলদার সেনারা।
এদিকে গাজায় অব্যাহত হামলা পুরো অঞ্চলের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, শিগগির গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হলে আঞ্চলিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়বে।