শেয়ার বিজ ডেস্ক: জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো জয়ী হয়েছে ক্ষমতাসীন অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) ও এর শরিক দল ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ)। তবে বিগত ৭০ বছরে এটি তার দলের জন্য সবচেয়ে খারাপ ফলাফল। পার্লামেন্টে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)। তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে তাদের প্রবেশে জটিলতা দেখা দিয়েছে জোট গঠন ও সরকার গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে। তাই মার্কেলের জয় সত্তে¡ও বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশটির পুঁজিবাজারে ও মুদ্রায় দরপতন হয়েছে। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদনমতে, গতকাল সোমবার ফ্রাঙ্কফুটের ডিএএক্স ৩০ সূচক দশমিক দুই শতাংশ পয়েন্ট হারায়। ডলারের বিপরীতে এদিন ইউরো দুর্বল হয়ে পড়ে।
এদিকে ইউরোপের বাজারে লন্ডনের বেঞ্চমার্ক এফটিএসই ১০০ সূচক পয়েন্ট কমেছে দশমিক পাঁচ শতাংশ। প্যারিসের সিএসি ৪০ সূচকও হারিয়েছে দশমিক তিন শতাংশীয় পয়েন্ট।
গত রোববার জার্মানির স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে মার্কেলের দল। আর তার জোটের বর্তমান অংশীদার এসপিডি ২০ দশমিক আট শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
এদিকে কট্টর ডানপন্থি দল এএফডি পেয়েছে ১৩ দশমিক এক শতাংশ ভোট, মার্কেল শিবিরের সবচেয়ে সম্ভাব্য সহযোগী উদারপন্থি এফডিপি পেয়েছে ১০ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট, পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টি পেয়েছে আট দশমিক ৯ শতাংশ ভোট, আর বাম দল পেয়েছে আট দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।
টানা চতুর্থবার চ্যান্সেলর পদে অ্যাঞ্জেলা মারকেল টিকে গেলেন বটে, তবে এবারের নির্বাচনে চরম ডানপন্থিদের উত্থান জার্মানির রাজনীতির গতিপথ বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভোটের ফল দেখে জার্মানির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদক ইনেস পোল বলছেন, ‘এ নির্বাচন এক স্পষ্ট বার্তা বহন করছে। সবকিছু আর আগের মতো চলবে না।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৃতীয় কোনো শক্তির এত বড় সাফল্যের পরই পুঁজিবাজারে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। তাদের এ জয়ে অ্যাঞ্জেলা মার্কেল নিজেই অবাক হয়েছেন।
জয়ের পর সমর্থকদের উদ্দেশে মার্কেল বলেন, তিনি আরও ভালো ফলাফল আশা করেছিলেন। তিনি বলেন, এএফডি’র সমর্থকদের উদ্বেগ ও মতামতের কথা শুনবেন তিনি। শরণার্থী সংকটের মূল খুঁজে বের করতে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে তার সরকার। কারণ এটাই এএফডির সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল।
চ্যান্সেলর বলেন, আমরা বলতে চাই আমাদের ওপর এখন দায়িত্ব আরও বেশি। নিবিড়ভাবে আমরা সেই দায়িত্ব পালন করে যাবো।
Add Comment