দেশে চালের মজুত পর্যাপ্ত: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে বর্তমানে ১৮ লাখ মেট্রিক টন চাল মজুত আছে, যা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। আসছে রোজার মাসে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহের কোনো সংকট হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল রোববার একটি অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বাজার নিয়ে কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রমজানে নিত্যপণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ থাকবে। আমাদের এখন দরকার উৎপাদক ও আমদানিকারক থেকে হোলসেলার এবং রিটেইলারদের সাপ্লাই চেইন নিয়ে কাজ করা। এটা করতে পারলে আমাদের ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাবেন।’

তিনি বলেন, ‘যারা নিত্যপণ্য আমদানি করেন, সেসব আমদানিকারককে আমরা ডেকেছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও মৎস্য মন্ত্রণালয়কে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি সমন্বয় করে দিয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিছুই উৎপাদন, আমদানি বা রপ্তানি করে না বরং পলিসি নিয়ে কাজ করে। সেই পলিসিগুলো দিয়ে যদি সবার সমন্বয়ে ভোক্তাদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হয়, তাহলে সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সবাইকে একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসতে হবে।’

রোজার মাসে নিত্যপণ্যের বাজার ঠিক রাখাকে ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে মনে করছেন প্রতিমন্ত্র। ‘রমজানকে ঘিরে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। বিশেষ করে চিনি ও তেলের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এসব পণ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। আমরা আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী এতে সম্মতি দিয়েছেন। আশা করছি অতিদ্রুত ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ এই শুল্ক একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসবে। এটা করতে পারলে আমদের আগামী রমজানে ভোক্তারা একটা সুবিধা পাবে।

‘ভারতের সঙ্গে আমাদের পেঁয়াজ এবং চিনি নিয়ে একটি প্রতিবন্ধকতা ছিল।  ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। রমজান উপলক্ষে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, চায়নার সঙ্গে  আমাদের সবচেয়ে বড় ট্রেড গ্যাপ রয়েছে। এই গ্যাপ পূরণ করতে আমাদের কাজ করতে হবে।  আমরা যদি মনে করি আম বা সবজি রপ্তানি করে রাতারাতি ২২-২৩ বিলয়ন ডলারের রপ্তানি গ্যাপ পূরণ করে ফেলব, এই চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’

‘যে পণ্যগুলো আমরা চায়না থেকে আমদানি করছি, সেই আমদানি প্রতিস্থাপন যদি বাংলাদেশি শিল্প-কারখানার সহায়তায় করতে পারি এবং এগুলো যদি রপ্তানি করতে পারি তাহলে এ গ্যাপটা দ্রুত কমে আসবে।’

সামনে চীনের অর্থনীতিতে বড় চ্যালেঞ্জ আসবেÑজানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেই চ্যালেঞ্জকে আমাদের বড় অপরচিুনিটি হিসেবে কাজে লাগাতে হবে। ইউএস-চায়না বাণিজ্য সম্পর্ক যত কঠিন হবে চায়না বিনিয়োগও তত ডাইভারশন হবে। সামনে চায়না বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগ করবে। বাংলাদেশ সরকার ১০০টি ইকোনমিক জোন করেছে। সেসব জোনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের টানতে হবে। এক্ষেত্রে বিডার ফরেন ডাইরেক্টরদের সুবিধা দেয়া হচ্ছে।’

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০