নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি বাবদ অর্থ পরিশোধে ২৪টি ব্যাংকের সঙ্গে বন্ড ইস্যুর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছে অর্থ বিভাগ। গতকাল বুধবার বিদ্যুৎ ভবনে ২৪ ব্যাংক, পাওনাদার বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি ও বিদ্যুৎ বিভাগের মধ্যে এ চুক্তি সই হয়। অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভর্তুকির অর্থ পরিশোধে ২৪ ব্যাংকের এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে, যেখানে মোট অর্থের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। এখন এসব ব্যাংকের অনুকূলে বন্ড ইস্যুর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যায়ক্রমে ব্যাংকগুলোকে বন্ড ইস্যু করে দেবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে বলেন, ২৪টি ব্যাংক বন্ড ইস্যুর বিষয়ে সম্মত হয়ে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে। তবে কোন কোন ব্যাংক এতে সম্মত হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হলেই আমরা বন্ড ইস্যুর ব্যবস্থা করব।
জানা যায়, প্রতি বছরই বিদ্যুৎ ও সার খাতে বড় অঙ্কের ভর্তুকি দিয়ে থাকে সরকার। অর্থ সংকটের কারণে গত কয়েক বছর সরকারের বিপুল অঙ্কের ভর্তুকির অর্থ বকেয়া পড়েছে। অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সার ও বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বকেয়া পড়েছে। এই বকেয়ার কারণে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি তাদের ব্যাংকঋণ সময়মতো পরিশোধ করতে পারছে না।
এরকম পরিস্থিতিতে সরকার বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া ভর্তুকি পরিশোধের জন্য ১২ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর উদ্যোগ নিয়েছে। প্রথম দফায় পাঁচ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা দেয়া হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এই‘স্পেশাল ট্রেজারি বন্ড’ ইস্যু করবে। এর মেয়াদ ১০ বছর। আর সুদহার বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি রেট। বর্তমানে পলিসি রেট আট শতাংশ। ব্যাংকগুলো এই বন্ড জামানত রেখে রেপো সুবিধা নিতে পারবে। সরকারি সিকিউরিটির বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধার দেয়ার পদ্ধতিতে রেপো বলা হয়।
এর আগে সারের ভর্তুকি বাবদ কয়েকটি ব্যাংকের অনুকূলে বন্ড ইস্যু করা হয়েছে। এসব বন্ড জমা রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো অর্থ নিয়েছে।
