শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চের ষড়বিংশ আসর

চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) আবৃত্তি মঞ্চের ‘শাশ্বত সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুত্থান কবিতা’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে

সংগঠনটি প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করছে দুই মাস ব্যাপী নিয়মিত প্রমিত উচ্চারণ, উপস্থাপনা ও আবৃত্তি কর্মশালা। ‘

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু সেমিনার কক্ষে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এবং প্রশিক্ষণার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মাধ্যমে কর্মশালা উদ্বোধন করা হয়।

এমন আয়োজনটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চের সভাপতি উম্মে সালমা নিঝুমের সভাপতিত্বে প্রারম্ভিক দিনে ‘জড়তা মোচন’ শীর্ষক ক্লাস পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চের প্রধান উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাছুম আহমেদ।

আবৃত্তি মঞ্চের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তাসলিম হাসান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কথার মাধ্যমে জড়তা দূর করার কথা চিন্তা করে আমাদের এমন আয়োজন। শিক্ষার্থীরা যেন পাবলিক স্পিকিং, উচ্চারণের সঠিক ধারণা এবং নিজেদের জড়তা দূর করতে পারে। আমরা সপ্তাহে রবিবার ও বৃহস্পতিবার এই দুইদিন কার্যক্রম পরিচালনা করি।

আবৃত্তি মঞ্চের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ষড়বিংশ আসরের আহ্বায়ক অনন্যা বড়ুয়া বলেন, আমরা সবাই যদিও বাংলা ভাষায় কথা বলি তবে আমাদের মধ্যে বাংলা ভাষার প্রমিত উচ্চারণটা আমরা সঠিকভাবে করতে পারি না। আমরা এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলা ভাষার প্রমিত উচ্চারণ, কবিতা আবৃত্তি এবং উপস্থাপনা এই সব বিষয় নিয়ে কাজ করি যাতে এই সমস্যা গুলো শিক্ষার্থীরা সহজে সমাধা করতে পারে। তবে এই বছর শুধু অনার্স প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

আবৃত্তি মঞ্চের সভাপতি উম্মে সালমা নিঝুম বলেন, আমাদের আবৃত্তি মঞ্চের কর্মশালা ২৫ ফেরিয়ে ২৬শে পা রেখেছে।
আমরা প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও আয়োজনটি করতেছি। আমরা জাতীয় মানের আবৃত্তি উৎসব করে থাকি এই আবৃত্তি মঞ্চের মাধ্যমে যদি কোন শিক্ষার্থী টেলিভিশনে আবৃত্তি, উপস্থাপনা এবং প্রমিত উচ্চারণ প্রতিযোগিতা করতে চাই তাহলে সে পারবে কারণ আমরা সেইভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। আমরা শিক্ষার্থীদের দুই মাস প্রশিক্ষণের পর মৌখিক এবং তাত্বিক দুইভাবে মূল্যায়নের মাধ্যমে সার্টিফিকেট দিয়ে থাকি।

দুই মাস দীর্ঘ কর্মশালায় উচ্চারণসূত্র, উচ্চারণে আঞ্চলিকতার প্রভাব ও তার প্রতিকার, উপস্থাপনার কলাকৌশল ও মাইক্রোফোনের ব্যবহার, একক-দ্বৈত এবং বৃন্দ আবৃত্তি নির্মাণ, কণ্ঠানুশীলন (ভাব-রস ও তাল, লয়, ছন্দ) এবং কলাকৌশল সহ আবৃত্তির বিবিধ বিষয়ে দেশের বরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষকবৃন্দ প্রশিক্ষণ দেবেন।

উল্লেখ্য,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর প্রমিত উচ্চারণ, উপস্থাপনা ও আবৃত্তির উপর কর্মশালা পরিচালনা করে আসছে সংগঠনটি। এবারের ষড়বিংশ আবর্তনে অংশ নিচ্ছেন একশো পঞ্চাশ জন প্রশিক্ষণার্থী।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০