নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইস-ক্রিম পিএলসির উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইকরামুল হক শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইস-ক্রিম পিএলসির উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইকরামুল হক কোম্পানিটির মোট ৩ কোটি শেয়ার ধারণ করছেন। আর এই পরিচালক কোম্পানির ধারণকৃত শেয়ার থেকে ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রি করবেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইর মাধ্যমে পাবলিক মার্কেটে এ শেয়ার বিক্রি করবে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১২ টাকা ৯৪ পয়সায়। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা। ৩০ জুন তাদের শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯০ পয়সা এবং আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৪১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৫৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৫ পয়সা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৩০ দশমিক ০৬ ও হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৪১ দশমিক ৪০।
২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তাওফিকা ফুডসের লেনদেন শুরু হয়। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৮৫ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮ কোটি ৫০ লাখ। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২১ দশমিক ৩৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও ৩৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৫১ শতাংশ বা এক টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৭ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৪১ লাখ ১২ হাজার ১৩টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৪৭৪ বার হাতবদল হয়, তবে দিনভর শেয়ারদর ৪৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৪৯ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হলেও গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।