মেহেদী হাসান: এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের এমডি দেওয়ান মুজিবুর রহমানের অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে তিনি ব্যক্তিগত শুনানিতে আগ্রহী কি না, তা জানতে চেয়ে সম্প্রতি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্থায়ী কমিটি চিঠি দিয়েছে। একই প্রক্রিয়া অনুসরণ শেষে এর আগে অগ্রণী ও বেসিক ব্যাংকের এমডিকে অপসারণ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ উল্লেখ করে গত ২০ মার্চ দেওয়ান মুজিবুর রহমানকে নোটিস দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নোটিসে বলা হয়Ñমার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান শহীদুল আহসানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট এজি এগ্রোকে প্রিন্সিপাল শাখা থেকে ১৮৩ কোটি টাকা ও চন্দ্রগঞ্জ শাখা থেকে বেগমগঞ্জ ফিডের নামে ১১৮ কোটি টাকাসহ বিভিন্ন শাখায় ৭৪৯ কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের সঙ্গে এমডির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এছাড়া বেনামি শেয়ার ধারণ, পরিচালক না হয়েও পর্ষদ সভায় উপস্থিতসহ বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য গোপন করা হয়েছে। এসব অনিয়মের বিষয়ে চিঠি পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। কিন্তু জবাব না দিয়ে তিনি এর কার্যকারিতা স্থগিতের আবেদন করে ২৯ মার্চ উচ্চ আদালতে যান। সাময়িকভাবে নোটিসের কার্যকারিতা স্থগিত হলেও কয়েক দিনের মাথায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে রায় দেন আদালত। এরপর নোটিসের জবাব দেন তিনি। তবে ওই জবাব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে সন্তোষজনক না হওয়ায় বিষয়টি পাঠানো হয় স্থায়ী কমিটির কাছে।
জানা গেছে, ব্যাপক পর্যালোচনা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসানের নেতৃত্বাধীন স্থায়ী কমিটি সম্প্রতি এনআরবিসি ব্যাংকের এমডিকে ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে আগ্রহী কি নাÑতা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে। শুনানিতে অংশ নিতে রাজি না হলে সরাসরি তাকে অপসারণ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর শুনানিতে অংশ নেওয়ায় আগ্রহী হলে শিগগিরই দিন-তারিখ ঠিক করে আরেকটি চিঠি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যক্তিগত শুনানির বিষয়ে জানতে চাইলে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের এমডি দেওয়ান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘দেখার কি আছে। তারা শুনানিতে ডাকবেন। ডাকলে যাব।’
Add Comment