অনাথ শিশুর মতো যার জীবনখানি নিস্তরঙ্গে নিথর হতে পারতো নিযুত জীবনের নিঠুর নিয়তিপাশে তিনি জুগিয়েছেন হৃৎস্পন্দনের খোরাক। দেশের জন্য লড়েছেন। শূন্য জমিনে গড়েছেন ব্যবসায় কাঠামো। জীবনের সব অর্জন লিখে দিয়েছেন মানুষের নামে। তিনিই দেশের সবচেয়ে সফল ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ‘কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’-এর জনক রণদা প্রসাদ সাহা। নারীশিক্ষা ও চিকিৎসায় নারী-পুরুষ কিংবা ধনী-গরিবের ভেদ ভেঙেছেন। তার জীবনেই রয়েছে সসীমকে ডিঙিয়ে অসীমে শক্তি সঞ্চারের কথামালা। এ জীবন ও কেতন যেন রোমাঞ্চিত হৃদয়েরই উদ্দীপ্ত প্রেরণা। পর্ব-১৬…………
মিজানুর রহমান শেলী: বিশ শতকের শুরুতে কলকাতা শহর ছিল দুটি ভাগে বিভক্ত। উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল। এই দুই বিভক্তিকে সুচারুভাবে স্পষ্ট করেছিল বউবাজার রোড। সার্কুলার রোড থেকে নদীর দিকে রাস্তাটি এগিয়ে গেছে। উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়িক ভাগটিকে বাদ দিলে, ডালহৌসি রোড পর্যন্ত বাকি অংশে স্থানীয় লোকের বসবাস। এখানকার রাস্তাগুলো প্রাচ্য ধাঁচের। অনেকটা সরু। তবে কিছু কিছু এলাকায় তখন সুউচ্চ অট্টালিকার আভিজাত্য চোখে পড়ত। এ উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গা বস্তি ও গ্রামবাসীর দখলে ছিল। মেঠোপথ আর ছনের ছাউনিতে চাপা ছোটখাটো কুঁড়েঘরে এলাকাটিতে ছিল এক সুনসান নীরবতা। কুঁড়েঘরগুলো ছিল ছোট ছোট ছত্রে আবদ্ধ। গায়ে গায়ে জড়িয়ে থাকত এ গুচ্ছ বাড়িগুলো একটি ডোবা বা পুকুরের পাশে।
তবে এই দারিদ্র্যের গুচ্ছ গুচ্ছ পঙ্ক্তির মাঝে ছিল শহুরে উন্নয়নের গতিধারা। লেখচিত্রের উঁচু-নিচু রেখাগুলো যেমন অনিয়মিত, ঠিক তেমন ধারায় মাঝেমধ্যেই ওই পল্লিতে দেখা যেত উঁচু উঁচু দালানকোঠা। ওগুলো ইট-পাথরে নির্মিত। কখনও একতলা, আবার দোতলা থেকে তিনতলা। উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এসব দোতলা-তিনতলার ছাদ হতো সমতল। আবার যেন লেখ রেখাটি দারিদ্র্যের আঘাতে তিনতলার উচ্চতা থেকে কুঁড়েঘরের চাল বরাবর থমকে পড়েছে। তারপর দোচালা কুঁড়ে ছাউনিতে তা যেন নিয়ত ধারায় ঢেউ খেলেছে। কখনোবা দেখা যেত যুগল-চৌকোনা ইমারত। এগুলো দুটো চতুষ্কে একটি দুটো পরিসরকে আটকে রাখে। হলো-স্কয়ার বলে ডাকা হয়। এখানে হিন্দুরা ধর্মীয় উৎসবগুলোতে এক মেঝেতে সমবেত হতো। তখন পুরো ইমারত যেন মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যেত। তাছাড়া রাতের নিকষ কালো রূপের মাঝে হলো-স্কয়ারের এসব বাড়িগুলোকে জোনাকিদের হাট বলে মনে হতো। নানা রকম ঝলমালানি আলোয় যেন ঝলসে যেত ইট-পাথরের দেয়াল আর সবুজ আঙিনা। এগুলোই হলো মন্দির। এই মন্দিরের উত্তরের বাহুতে ঠাকুর ঘর। এই ঘরে থাকে অধিষ্ঠাত্রী দেবী। পরিব্যাপ্ত এই দালানের ওপরের তলাগুলো থাকার ঘর। তার সঙ্গে ভেতরমুখো বারান্দা। আবার অনেক বাড়িগুলোতে রাস্তামুখী কাঠের বারান্দা দেখা যেত।
এসব নিয়মিত ধারার ঘরবাড়ির মাঝেও হাতেগোনা কয়েকটি বাড়ি ছিল, যেগুলো সহসাই চোখের চাহনি আঁকড়ে ধরত। সূ² কারুকাজে মোড়ানো বাড়িগুলো। প্রশস্ত আঙিনায় ঢিলেঢালা নান্দনিক অনুভ‚তি। এখানে বাস করত ভারতীয় ভদ্রলোকেরা। তারা ছিল অঢেল সম্পদের অধিকারী। এই ভদ্রলোকেরা ছিল আগের আমলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির। ব্রিটিশরা এসব মধ্যবিত্তের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ভদ্রলোক বানিয়েছিল। বিনিময়ে তারা কেবল ভদ্রলোকদের কাছ থেকে চাটুকারিতা আদায় করত। এই চাটুকারিতার পরিণতি ভারতকে ২০০ বছর পর্যন্ত গুনতে হয়েছে। সইতে হইছে জ্বালা-যন্ত্রণা। শোচনীয়, অবর্ণনীয় ভাগ্য প্রহর গুনেছে দরিদ্র শ্রেণি। ভদ্রলোকদের বাড়ির সীমানা যেখানে শেষ হতো, সেখানেই জীর্ণ ক্লান্তিতে চাপা দারিদ্র্যের কুঁড়েকুঠি প্রহর গুনত।
কলকাতার এই উত্তরভাগের প্রধান রাস্তা উত্তর-দক্ষিণে প্রলম্বিত। এর একটি রাস্তা নিমতলীর শ্মশান ঘাট থেকে শুরু হয়েছিল। আরেকটি ধর্মহাট্টা (মহর্ষি দেবেন্দ্র রোড) রোড। এখানে নলখাগড়ায় বানানো পাটির বাজার বসত। এ রাস্তাটি ডালহৌসি স্কয়ারের ক্লাইভ স্ট্রিটে পৌঁছে। এ দুটো রাস্তার গতিপথ একই জায়গা থেকে শুরু।
চিৎপুর স্ট্রিট আরেকটি গুরুত্ববাহী রাস্তা। এটি প্রায় পুরো শহর পরিভ্রমণ করেছে। বিভিন্ন প্রান্তে বা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে বিভিন্ন নামে। চিৎপুর থেকে কালিঘাটের তীর্থ যাত্রীরা স্মরণাতীত কাল থেকে এই মান্ধাতার পথেই যাত্রা করে। কর্নওয়ালিস স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট, ওয়েলিংটন স্ট্রিট ও ওয়েলিসলি স্ট্রিট একই দূরুত্বে শামবাজার ও বাগবাজারকে যুক্ত করেছে সর্ব উত্তরের পার্ক স্ট্রিটের সঙ্গে। আমহার্স্ট স্ট্রিট: এটি মানিকতলা থেকে যাত্রা করেছে কর্নওয়ালিস স্ট্রিটের দক্ষিণ-পূর্বে। তারপর দক্ষিণ দিকে বউবাজার স্ট্রিটের দিকে ধেয়ে চলেছে। আর সার্কুলার রোডটি পূর্বদিকে শহরকে বেষ্টন করে। এমনকি এই রোড মহারত্তা খালের আদি সীমানাকে চিহ্নিত করে।
কিছুটা দক্ষিণ দিক থেকে শুরু হয়ে পূর্ব-পশ্চিমে পূর্বমুখী একটি এভিনিউ দেখা যেত। প্রথমদিকে চিৎপুর স্ট্রিটকে ছেদ করার আগ পর্যন্ত এটা ছিল লাল বাজার। তারপর কলেজ স্ট্রিটে পৌঁছার আগ পর্যন্ত এটি বউবাজার। আরও প্রলম্বিত হয়ে ‘বয়টাকোন্না (বৈঠকখানা) স্ট্রিট’ নামে তা শিয়ালদার কাছে সার্কুলার রোড পর্যন্ত পৌঁছে। এখানেই ছিল জনপ্রিয় বৈঠকখানা গাছটি। সেকালের কলকাতার বণিকরা এখানে এক অশ্বত্থ গাছের নিচে বিশ্রাম নিতেন। জব চার্নক যখন কলকাতাকে বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে বেছে নেন। তখন তিনিও এখানে গা এলিয়েছেন। সে থেকেই জায়গাটির নাম বৈঠকখানা, আর গাছটির নাম বৈঠকখানা বা বয়টাকোন্না গাছ।
আরেকটি রাস্তা নদীতট থেকে ছুটে এসেছিল সার্কুলার রোড বরাবর। এর নাম ছিল কলুটোলা। রাস্তাটির পশ্চিমের বাড়ন্ত অংশটি মুরগিহাট্টা। পরে এর নাম হয় ক্যানিং স্ট্রিট। আরও পূর্বে এগিয়ে গিয়ে মির্জাপুর স্ট্রিট নামে কলেজ স্ট্রিটকে অতিক্রম করে। হ্যারিসন স্ট্রিট শিয়ালদা ও হাওড়া রেলপথকে ছুঁয়েছিল।
মাচোয়া বাজারটি ছিল খুবই সরু। এ রাস্তাটি পূর্বের গ্যাস ওয়ার্কস ও নদীর গাঘেঁষা কটোন স্ট্রিটের সঙ্গে যোগ হয়। বানসতোল্লা ও মুকতারাম বাবুর স্ট্রিট ধর্মহাট্টাও কর্নওয়ালিস স্ট্রিটে যুক্ত হয়েছে। রতন সরকার স্ট্রিটটিও ধর্মহাট্টা থেকে এসে সার্কুলার স্ট্রিটের সঙ্গে মিশেছে। এ পথে রাস্তাটি বারানাস ঘোষ ও সুকিয়াস স্ট্রিট নাম ধারণ করে। বিডোন স্ট্রিটটি নিমতলী থেকে সার্কুলার রোড ঘুরে আসতে একটি সুষম বর্গাকৃতি রূপ নেয়। বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের আমলে বিডোন স্ট্রিটের মতো গ্রে স্ট্রিটও নামকরণ হয়েছে। এই স্ট্রিটখানি সুবাবাজার বরাবর এগিয়ে যায়। এটি কলকাতার অনেক পুরোনো রাস্তা। এ সুবাবাজারের রণদা প্রসাদের কলকাতার বাড়িখানা ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।
সবশেষে সেই জেগে ওঠা কলকাতার শামবাজার আর বউবাজার স্ট্রিটের নাম উল্লেখ করতে হয়। শামবাজার স্ট্রিটটি উত্তর-পূর্ব কোনো বেলগাছীর শহরতলীতে মিশেছিল। আর বউবাজার স্ট্রিট শহরের উত্তর দিগন্তে সহসাই মুখ লুকিয়েছিল।
কলকাতা শহরের এই রোড-স্ট্রিট বা রাস্তার আভিজাত্য যেন সমৃদ্ধ বাজারগুলোতে আরও বেশি গুরুত্ববাহী হয়ে ওঠে। কলকাতা শহরের উত্তর ভাগের সবচেয়ে বড় ও প্রসিদ্ধ বাজার ছিল রাধা বাজার, পুরোনো ও নতুন চাইনা বাজার, বুররা বাজার ও তিরেত্তা বাজার। তেল, আসবাবপত্র, পোশাক-পরিচ্ছেদসহ বিচিত্র সব পণ্যের বাজার ছিল রাধা বাজার আর চাইনা বাজার। এসব পণ্য বিভিন্ন দামে কেনাবেচা হতো। তিরেত্তি বাজারে গবাদি পশুর বিশাল হাট বসত। বুররা বাজারে থান কাপড়, কাশ্মীরি শাল, অলঙ্কার, মূল্যবান পাথর, মাদক, ওষুধসহ নানা দেশি-বিদেশি জিনিস পাওয়া যেত। এসব পণ্যের দুই রকম বাজার ছিল। কোনো কোনো বাজারের এত বড় আয়োজন আর সন্নিবেশ ছিল যে, ক্রেতা তা দেখেই বিস্মিত হয়ে যেত। আবার কিছু পণ্য বাজারে সাধারণ খুচরা ক্রেতা গিয়ে হতভম্ব হয়ে যেতেন। বড় বড় গুদামে পণ্যের অনেক বড় মজুত থাকত সেখানে। সাধারণ পাইকারি দরে বিক্রি হতো এসব পণ্য।
বলতেই হয় এ উত্তর ভাগই ছিল কলকাতার ব্যবসায়ের প্রাণকেন্দ্র। ক্লাইভ স্ট্রিট, ক্লাইভ রোড, হেয়ার স্ট্রিট, হেস্টিংস রোড, দ্য স্পিলানেড, গভর্নমেন্ট প্লেস, ওল্ড কোর্ট হাউজ স্ট্রিট অ্যান্ড ডালহৌসি স্কয়ারকে কেন্দ্র করেই মূলত এখানে ব্যবসা জমে উঠেছিল। পশ্চিমের সীমানাজুড়েই অধিকার করেছিল বড় বণিকরা। আর দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ছিল মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ী, দোকানি বা ব্যাপারীদের। তবে ডালহৌসি স্কয়ার, ওল্ড কোর্ট হাউজ স্ট্রিট ও গভর্নমেন্ট প্লেস ছিল নজরকাড়া। এ অঞ্চলেই ছিল মূলত বিশাল বিশাল জাঁকজমকপূর্ণ দোকানপাটের সমারোহ। এমনকি কয়েকটি ছিল বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।
পশ্চিমে বেনটিনক স্ট্রিটকে ঘিরে বউবাজার ও ধর্মতলার মাঝেই কলকাতার সুলভ জীবনের বসতি গড়ে উঠেছিল। দেশি-বিদেশি লোকের সমাবেশ ঘটেছিল এখানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পর্তুগিজ এবং ইউরোপের অতিদরিদ্র শ্রেণির লোকরা এখানে বাস করত। তবে সংখ্যায় তুলনামূলক অনেক বেশি ছিল স্থানীয় দরিদ্র শ্রেণির মানুষজন।
বলা চলে এ অঞ্চলই ছিল কলকাতার দুঃখ। যে কোনো লোক এখানে এসে বসতি গড়তে পারতেন। অঞ্চলটি ছিল অবহেলিত। তাই প্রবেশ ও ঠাঁই পাওয়াও ছিল সহজ। নানা রূপের অসন্তুষ্টি আর ক্ষোভ এ অঞ্চলজুড়েই হতো অভিমানে গম্ভীর। আঁকাবাঁকা সব সরু গলি পথই ছিল এখানকার চলাচলের অবলম্বন। পয়োনিষ্কাশন ছিল শোচনীয়। অতিশয় অসহনীয় পচা গুমোট আঁশটে স্যাঁতসেঁতে গন্ধে ভারি হয়ে উঠত জনজীবন। গভীর ঘনবসতি। পতনো মূখ জীর্ণ-শীর্ণ বাড়িঘর।
চাঁদনি চক। এই নামটার সঙ্গে আজো কলকাতার সুন্দরীদের যোগ আছে। ছিল আগেও। ধর্মতলার উত্তর দিকে এই বাজারের অবস্থান। গোলকধাঁধার মতো অলিগলি পথের সারিতে সারিবদ্ধ দোকানপাট। এসব দোকানেই ভিড় জমত সে সময়ের সুন্দরীদের। হোক সে কিশোরী অথবা যুবতী। বিবাহিত অথবা অবিবাহিত। এখানে যৌবনের রূপসজ্জায় রমণীদের ছিল দারুণ এক অনুরাগ। নখ থেকে চুল। শরীর সজ্জার কোনো অঙ্গে বা অনুষঙ্গেরই জুড়ি ছিল না। হরেক রকম, বাহারি আবরণ আর অলঙ্কারে মজুত ছিল এ বাজার। সিল্কের শাড়ি বা কাপড়ের জন্য এ বাজারের সুখ্যাতি ছিল বিস্তর। কেনাকাটার ধুম পড়ে যেত: বেলা গড়িয়ে আঁধার অবধি।
অবশ্য তারও কিছুদিন পর চৌরঙ্গীর লিন্ডসে স্ট্রিটের মিউনিসিপিলিটিজেও একই ধাঁচের বাজারের পসর বসেছিল। এই বাজারেও চাঁদনি চকের মতো রকমারি রূপসজ্জার প্রসাধনী আর আবরণের আয়োজন বসেছিল, তবে পারিপার্শ্বিক সুযোগ-সুবিধা ছিল উন্নত।
ধর্মতলার দক্ষিণাংশটা ছিল বেশ অভিজাত। বেনটিনক স্ট্রিট থেকে শুরু করে জৌলুসে মোড়ানো চৌরঙ্গী স্ট্রিট পর্যন্ত। প্রায় দুই মাইল দৈর্ঘের এ রাস্তা ৮০ ফুট প্রশস্ত ছিল। এর পূর্ব পাশে গড়ে উঠেছিল জাঁকজমকপূর্ণ দালানকোঠা। আর পশ্চিম দিকে ছিল সবুজ ঘাসে আবৃত এক মাঠ। এই নয়নাভিরাম ঘাসের চাদরখানি নদী পর্যন্ত বিছানা সাজিয়েছিল। এই বাড়িগুলোর দক্ষিণে শোভা পেত চওড়া আর টানা বারান্দা; যেন বাড়ির চার ভাগের একাংশ জায়গাজুড়ে নিয়েছিল বারান্দাগুলো। গরমের দিনে নদীতটের মৃদুমন্দ বাতাস গা এলিয়ে ভেসে বেরাত এ-বারান্দা ও-বারান্দা পর্যন্ত। বারান্দার বিকালটা হতো উষ্ণ আমেজে স্ফুর্ত।
লেখক: গবেষক, শেয়ার বিজ
mshelleyju@gmail.com
Add Comment