হ া ও য় া  ব দ ল: রাজশাহী

ধ্রুব দাস: আম, লিচু, সিল্ক, মিষ্টান্ন ও বিশুদ্ধ বায়ুর জন্য রাজশাহীর খ্যাতি রয়েছে। শিক্ষা ও রেশমি নগরী রাজশাহী হতে পারে হাওয়া বদলের উৎকৃষ্ট স্থান।

যেভাবে যাবেন

সড়ক, রেল ও আকাশপথে যেতে পারেন রাজশাহী। ঢাকা, খুলনা ও বরিশালের সঙ্গে রাজশাহীর সড়ক যোগাযোগ ভালো। আশপাশের জেলাগুলোর সঙ্গেও উন্নত সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ন্যাশনাল, দেশ, গ্রামীণ, একতা, হানিফ, গ্রিনলাইফ, শ্যামলী, মডার্ন প্রভৃতি পরিবহনের বাস ছেড়ে যায় রাজশাহীর উদ্দেশে। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থাও সড়কনির্ভর ও উন্নত। জেলার সব উপজেলা ও ইউনিয়নের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ আছে। মিশুক, টেম্পো, মিনিবাস কিংবা রিকশায় চড়ে দর্শনীয় স্থানগুলোয় যেতে পারবেন।

আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য ট্রেনে চড়তে পারেন। দেশের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে রাজশাহীর রেল যোগাযোগ রয়েছে। এর মধ্যে কপোতাক্ষ, বরেন্দ্র, তিতুমীর, সিল্কসিটি, মধুমতি, পদ্মা, সাগরদিঘি, ধূমকেতু, উত্তরা, মহানন্দা প্রভৃতি ট্রেন উল্লেখযোগ্য।

ঢাকা-রাজশাহী রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের কয়েকটি ফ্লাইট চালু রয়েছে।

যা দেখবেন

টি বাঁধ, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, চিড়িয়াখানা, পদ্মা গার্ডেন, রেশমপট্টি, শাহ মখদুমের সমাধি, বিসিক শিল্প এলাকা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, পুঠিয়া রাজবাড়ী, গোয়ালকান্দি জমিদার বাড়ি, সাফিনা পার্ক, সরমংলা ইকোপার্ক, হাওয়াখানা প্রভৃতি ঘুরে বেড়াতে পারেন। একই সঙ্গে পদ্মা, মাথাভাঙ্গা, পুনর্ভবা, বারনই, রানী, কম্পো প্রভৃতি নদীর আবেদনও কম নয়।

যেখানে থাকবেন

রাত যাপনের জন্য চমৎকার স্থান রাজশাহী। শহরে বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে চিড়িয়াখানার সামনে পর্যটন মোটেল, সাহেববাজারে হোটেল মুক্তা ইন্টারন্যাশনাল, হামিদিয়া গ্র্যান্ড হোটেল, নিউ টাউন ইন্টারন্যাশনাল ও হোটেল মুন, বোয়ালিয়ার হোটেল রাডার ও হোটেল হক্স ইন, বিন্দুরমোড় রেলগেটে হোটেল ডালাস ইন্টারন্যাশনাল, হেতেমখাঁর হোটেল জমজম, গণকপাড়ায় হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল ও প্রিন্স, মালোপাড়ায় হোটেল সুকর্ণা ইন্টারন্যাশনাল, লক্ষীপুর মোড়ে হোটেল গ্যালাক্সি, আরডিএ মার্কেটের হোটেল হক ইন্টারন্যাশনাল, মালোপাড়ার হোটেল স্কাই প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

যা খাবেন

হাওয়া বদলের জন্য রাজশাহীতে গিয়ে সাহেববাজারে বিদ্যুতের কলিজা-সিঙ্গাড়া ও খাসির সমুচা খেতে ভুলবেন না। বট ভাজা, লুচি ও কালাই রুটিও বিখ্যাত। মিষ্টিপ্রিয়দের জন্য রয়েছে মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের কমলাভোগ। বর্ণালীর মোড়ে জিলাপিও একবার চেখে আসবেন। এছাড়া দেশে প্রচলিত সব খাবার তো আছেই।