নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী থেকে আশপাশের নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের সুযোগ চেয়ে সাতটি দাবি জানিয়েছে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদ। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা।
সমাবেশে পরিষদের সদস্য সচিব গোলাপ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, সিএনজি অটোরিকশাচালকরা দৈনিক ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করেও অন্ন, বস্ত্র, স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেন না। আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা নেই। ‘আইএলও কনভেনশন ৮৭’ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার কার্যত অধিকার নেই। আমরা যা আয় করি, তার সিংহভাগ নিয়ে নেয় সিএনজি অটোরিকশার মালিক, প্রশাসন ও চাঁদাবাজ-দালালরা। খাওয়া-পরার খরচ শেষে সন্তানদের শিক্ষার খরচ চালানো এবং মাস শেষে ঘরভাড়া দিতেও হিমশিম খাই। নিজে ও পরিবার-পরিজন অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, সিএনজি অটোরিকশাচালকরা ঋণের জালে জড়িয়ে আছেন। সিএনজি অটোরিকশা পরিচালনায় সরকারি যে নিয়ম-নীতি রয়েছে, তা দুঃশাসনে পরিণত হয়েছে। সিএনজি অটোরিকশা জগতে সুশাসন বলে কিছু নেই। সব ক্ষেত্রে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা চলছে। প্রশাসন একে আইনের প্রয়োগ বলে দাবি করছে।
সিএনজি অটোরিকশা খাতে সুশৃঙ্খলা আনার দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো সরকারের বাস্তবায়ন করা উচিত। দাবি আদায় না হলে আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া আমাদের বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই।
চালকদের সাত দফা দাবি: অবিলম্বে ২০০৭ সালে সরকার অনুমোদিত পাঁচ হাজার সিএনজি অটোরিকশাচালককে নিবন্ধন দেয়া; ঢাকা মহানগরের জন্য আরও ১৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশাচালকের জন্য রেজিস্ট্রেশন/ব্লু-বুক প্রদান; ঢাকা মহানগরে সিএনজি অটোরিকশা দৈনিক জমা না বাড়ানো; পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না দিয়ে নো পার্কিং মামলা দিয়ে চালক হয়রানি বন্ধ করা; ২০১৫ সালের মিটার রেটের জন্য মামলা দিয়ে চালক হয়রানি বন্ধ করা; মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশার জন্য পৃথক লেন তৈরি করে চলাচলের সুযোগ এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ ও বিধিমালা ২০২৩-এর চালক স্বার্থবিরোধী ধারা বাতিল করা।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শেখ হানিফসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
