শেয়ার বিজ ডেস্ক : মন কেন এতো কথা বলে? মনের ঘরে বসত করে কয়জনা? সবকিছু মনের মত হয়না কেন? সুখ ছাপিয়ে দু:খ কেন মুখ্য হয়ে ওঠে? তারুণ্যের এরকম টানাপেড়েন, তাড়ণা; ভয় ও ভরসার মাঝে ভারসাম্য রেখে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা ও স্বপ্ননির্মানের নিরিখে নাজমুল হুদার নতুন বই ‘অনূর্ধ্ব উনিশ’। একুশে বইমেলার ২১ নং কথাপ্রকাশ প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।
কিশোর মস্তিস্কের ভাঙা-গড়ার খেলা; মনোদৈহিক পরিবর্তন, মিথ, মৈথুন, ট্যাবু আর তারুণ্যের প্রবল সম্ভাবনা ও ভাবনাগুলো বাধায় করা হয়েছে এক মলাটে। প্রতিটি অধ্যায় শুরু হয়েছে কোনো না কোন টুকরো গল্প, বাস্তব ঘটনা বা অভিজ্ঞতার আলোকে। নান্দনিক অলঙ্করণ অনুচ্ছেদগুলো সাজানো হয়েছে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ ছক বা অনুশীলন কৌশল দিয়ে। উনিশটি অধ্যায়ের নামকরণ করা হয়েছ কোনো কোনো গানের কলি, কবিতার পঙ্কিÍ বা প্রচলিত প্রবাদ থেকে যাতে লেখাগুলো সহজ ও সরস হয়ে ওঠে।
সবাই যেখানে তরণদের বলছে, দৌড়াও…ছোটো। শুরু থেকেই তাদের ‘রেসের ঘোড়া’ বানানো হয়; শেখানো হয় জীবন মানেই ‘পাগলা ঘোড়া’। এই ইঁদুর দৌড়ে কেউ হারে, কেউবা ‘রান আউট’ হয়। বড় হও, ধনী হও, টাকা কামাও, স্ট্যাটাস বাড়াও, ক্যারিয়ার গড়-মূলমন্ত্রে বেড়ে ওঠা কিশোর তরুণদের কাছে-‘জীবন মানেই যেন যন্ত্রণা!’ জীবনে,‘যাহা চাই তাহা পাইনা’ বলেই দু:খ তাদের পিছু ছাড়েনা। ‘মনের বাঘ’ সব সময় তাড়া করে। ভার্চুয়াল জগতের ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ড’, ‘ফর নাথিং ফ্যান, ফলোয়ার’ এই অস্থিরতার আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। এজন্য সবাই আপন শক্তিতে জ¦লে উঠতে পারেনা। অথচ স্বরুপে জ্বলে ওঠার জন্য দিয়াশলাইয়ের কাঠির মত এক বিন্দু বারুদই যথেষ্ট। দরকার শুধু একটু ঘষা দেওয়া। সেই প্রেষণা দিতেই প্রাসঙ্গিক উক্তি, যুক্তি ও দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন লেখক নাজমুল হুদা। তিনি বহমাত্রিক বক্তৃতা ও অনুপ্রেরণামূলক লেখালেখির জন্য সুপরিচিত। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১০। তাঁর প্রথম বই ‘ক্যারিয়ার ক্যারিশমা-সাফল্যের সাতপাঠ’ তুমুল পাঠকপ্রিয়তা পায়। এছাড়া, এক্্র ফ্যাক্টর, দ্য আইকন, বিশ্বনন্দিত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী, আপন আয়নায় গোপন মুখ, বিতর্কে হাতেখড়ি ও ‘জিনিয়াস জিসান’ও ‘বিজ্ঞান বিভ্রাট’ তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা।