শেয়ার বিজ ডেস্ক: চিত্রশিল্পে অনবদ্য ভূমিকা, বিশেষ করে চিত্রাঙ্কনে শিশুদের আগ্রহ তৈরি ও তাদের সৃজনশীল মনোবিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের বরেণ্য চিত্রশিল্পী ও শিশু চিত্রাঙ্কন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক। গত শনিবার কলকাতায় রথীন্দ্র মঞ্চে ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসবে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সাবেক মন্ত্রী রেখা গোস্বামীর হাত থেকে তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অ্যাওয়ার্ড অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় শিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক উদ্যোগটির প্রশংসা করে একে দুই বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির অটুট সেতুবন্ধন উল্লেখ করে আয়োজক ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সোসাইটি’ ও ‘এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট’কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘দিনশেষে রং-পেনসিল হাতে শিশুদের আর্ট শেখানোর মাধ্যমেই প্রকৃত সৃষ্টির আনন্দ খুঁজে পাই আমি। এ স্বীকৃতি আমার মেধা ও কাজকে আরও শানিত তথা ত্বরান্বিত করবে।’
অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিশু চিত্রাঙ্কন বিশেষজ্ঞ। ১৯৭৫ সাল থেকে প্রায় অর্ধশতক ধরে তিনি বাংলাদেশের কোমলমতি শিশুদের সৃজনশীল ও মানবিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। শিশুদের মানবিক ও সৃজনশীলতা বিকাশের লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্র সেন্টার ফর চাইন্ড ক্রিয়েটিভিটি, আজিমপুর লেডিস ক্লাব চিত্রাঙ্কন বিভাগ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চিত্রাঙ্কন বিভাগ, প্রভাতি আর্ট স্কুল, শান্ত-মারিয়াম একাডেমি এবং মোস্তাফিজ একাডেমি অব ফাইন আর্টস (মাফা)।
শিশুদের আর্ট শেখানোসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন তার শখ তথা নেশা। করোনার মহাদুর্যোগেও ভার্চুয়াল চিত্র প্রদর্শনী করে প্রশংসিত হন তিনি। দেশে এবং বিদেশে অসংখ্য কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণসহ একক ও যৌথ বিভিন্ন আর্ট এক্সিবিশনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ২০১০ সালে ‘রেট্রোসপেকটিভ’ শিরোনামে তার একটি একক চিত্রকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছিলেন ভারতীয় প্রখ্যাত অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। তিনি অসংখ্য দেশি ও বিদেশি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
শুধু শিশু শিক্ষাই নয়, এখন থেকে দুই দশক আগে তিনি কর্মমুখী সাংস্কৃতিক তথা সৃজনশীল উচ্চশিক্ষা প্রদানের নিমিত্তে শিক্ষানুরাগী বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মো. ইমামুল কবীর শান্তকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি। তিনি এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।