নিজস্ব প্রতিবেদক: দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিদ্যুৎ সচিব অজয় কুমার ভাল্লা। গতকাল বিদ্যুৎ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দেশের স্টিয়ারিং কমিটির এটি ত্রয়োদশ সভা। এর আগেরবারের সভাটি গত ডিসেম্বরে ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাত-সংক্রান্ত বিরাজমান বিষয়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় রামপালে বাস্তবায়নাধীন মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি কর্তৃক রামপাল বি-বøকে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এদিকে ভেড়ামারা ও ত্রিপুরা ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির বর্তমান অবস্থা, ভেড়ামারা ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে বর্তমানে আমদানি করা ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় আমদানির অগ্রগতি, সূর্যমণি-কুমিল্লা নর্থ লিংকের মাধ্যমে জিটুজি’র আওতায় এনটিপিসি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আরও ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, কাটিহার-পার্বতীপুর-বড়পুকুরিয়া-বরানগর ৭৬৫ কেভি গ্রিড ইন্টারকানেকশন ও বহরমপুর-ভেড়ামারা ৪০০ কেভি দ্বিতীয় ইন্টারকানেকশন বাস্তবায়ন এবং সূর্যনগর-কুমিল্লা নর্থ লিংকের মাধ্যমে আরও বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে কুমিল্লায় ব্যাক টু ব্যাক এইচভিডিসি সাব-স্টেশন নির্মাণের সম্ভাবনাসহ বিদ্যুতের ক্রস বর্ডার ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
স্টিয়ারিং কমিটির সভায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বিদ্যমান বহরমপুর-ভেড়ামারা ইন্টারকানেশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অগ্রগতি পর্যালোচনা, ভারতের রিলায়েন্স, সাপুরজি-পালনজি ও আদানি গ্রæপের বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের বর্তমান অবস্থাসহ ভারতীয় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে অংশগ্রহণ, বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে ভারতে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে অংশগ্রহণ, নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির সম্ভাবনা ও জিএমআর কর্তৃক নেপালে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানি, ভুটানের এক হাজার ১২৫ মেগাওয়াট কুরী-১ হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্টে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের যৌথ বিনিয়োগ এবং এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানিসহ দুদেশের মধ্যে জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় উভয় পক্ষ রামপালে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ এবং বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
Add Comment