কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ছে এসবিএসি ব্যাংকের

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই ব্যাংক খাতের কোম্পানি এসবিএসি ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। গত ৪ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৮ টাকা ৯০ পয়সা, যা গত ২২ ফেব্রুয়ারি লেনদেন হয় ১২ টাকা ৭০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর ১১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। এদিন ৪৬ লাখ ৩ হাজার ৫১৬টি শেয়ার ১ হাজার ৭৭৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮২৪ কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৬৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮২ কোটি ৪১ লাখ ৯১ হাজার ৬৫০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪০ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ২১ পয়সা।

অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ তিন প্রান্তিকের হিসাবে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ১২ পয়সা। অন্যদিকে এছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪৫ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১৩ টাকা ২৭ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৬৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩৬ পয়সা (ঘাটতি)।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ২ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ, নগদ ১ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৫৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮৬ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য চার শতাংশ নগদ ও চার শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সেময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল এক টাকা ৩৯ পয়সা। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৩ টাকা ৫৯ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ছিল ৪২ পয়সা (ঘাটতি)।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০