ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৩.৬০ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গেল সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৪৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। সব সূচক পতনের পাশাপাশি দৈনিক লেনদেন কমেছে। বাজার মূলধনও আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। কমেছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব সূচক নেতিবাচক হওয়ার পাশাপাশি বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমেছে। তবে লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে।

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ৭৭ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা এক দশমিক ২৪ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৯২ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ১৬ দশমিক শূন্য তিন পয়েন্ট বা এক দশমিক ১৮ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৪৫ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসই ৩০ সূচক ১৯ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা দশমিক ৯১ শতাংশ কমে দুই হাজার ১৭৭ দশমিক ৬২ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৩৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৮টির, কমেছে ২৬১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৫ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি একটির। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬৮৮কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬৭ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক লেনদেন হয় এক হাজার ২২১ কোটি চার লাখ ৯১ হাজার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৫৩২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ৪৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।

অন্যদিকে সিএসইতে ২৮৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৪০টির, কমেছে ২৩২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১১টির দর।

গেল সপ্তাহে ডিএসইর মোট টার্নওভারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৪৪৩ কোটি ৫৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৬ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ছয় হাজার ১০৫ কোটি ২৪ লাখ ৫৫ হাজার ১২৮ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার কমেছে দুই হাজার ৬৬১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বা ৪৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল চার লাখ ১০ হাজার ৩১০ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার ২২১ টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল চার লাখ সাত হাজার ২০৮ কোটি ২৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে দশমিক ৭৬ শতাংশ বা তিন হাজার ১০২ কোটি ৪৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এক সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স কমেছে এক দশমিক ৪৩ শতাংশ। এছাড়া সিএএসপিআই সূচক কমে এক দশমিক ৪২ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক কমেছে এক দশমিক ৩৫ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৪৫ শতাংশ।

সিএসইতে গেল সপ্তাহে টার্নওভারের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০২ কোটি ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার ২৮৮ টাকা, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে ৭১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে টার্নওভার ছিল ৪৩০ কোটি ৯০ লাখ ৫৭ হাজার ২১৬ টাকা।

গত সপ্তাহেও ডিএসইর টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। তালিকায় এর পরের অবস্থানগুলোয় ছিল বিবিএস কেব্লস, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, আমরা টেকনোলজিস, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, উত্তরা ব্যাংক, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, উত্তরা ফাইন্যান্স।

অন্যদিকে ২০ দশমিক ৩৫ শতাংশ দর কমে আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেড ডিএসইতে টপ টেন লুজার তালিকার শীর্ষে চলে আসে। এরপরের অবস্থানে ছিল ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, মেঘনা পিইটি, নর্দার্ন জুট, সামিট পাওয়ার, সাভার রিফ্রাক্টরিজ, সাফকো স্পিনিং, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক।

ডিএসইতে টার্নওভারের দিক থেকে শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো শাহ্জালাল ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, বিবিএস কেব্লস, আইএফআইসি ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ইফাদ অটোস।

সিএসইতে সাপ্তাহিক টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসা কোম্পানির মধ্যে রয়েছে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, বিবিএস কেব্লস, আজিজ পাইপস, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, রহিমা ফুড, যমুনা ব্যাংক, আমরা টেকনোলজিস, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স।

অন্যদিকে টপ টেন লুজার তালিকায় উঠে আসে আরএন স্পিনিং, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ, ওয়েস্টার্ন মেরিন, সাফকো স্পিনিং, সামিট পাওয়ার, ইস্টার্ন কেব্ল, কে অ্যান্ড কিউ, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স এবং সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল।

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০