নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস অর্থাৎ মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৫৭ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭ টাকা ৯১ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল বেলা ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২ এপ্রিল।
এর আগে এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ এবং সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৩৩ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩৯ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ১৭ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৪ টাকা ১০ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ১৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ২৮ পয়সা।
ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ২০৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৩৬৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১২০ কোটি ৭২ লাখ ৩৪ হাজার ৭১৫টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ০৮ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ২২ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩১ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৩১ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ৭৭০টি শেয়ার মোট ৬০৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩২ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ২৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৩৩ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।