শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া বক্তব্যে বোরেল এ কথা বলেন। খবর: বিবিসি।
অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণসহায়তার অভাবকে ‘মানবসৃষ্ট’ বিপর্যয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান। গাজাবাসীর জন্য অতিপ্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে স্পেনের একটি জাহাজ ইতোমধ্যে সাইপ্রাস থেকে রওনা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওদিকে গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান জোরদার করার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গাজার মানুষের জন্য সহায়তা পাঠানোর দ্রুততম পন্থা হলো স্থলপথের ব্যবহার। কিন্তু ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী স্থলপথে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তাই বিকল্প পথে ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ নিতে হয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডানসহ অনেক দেশ উড়োজাহাজ থেকে গাজায় ত্রাণ ফেলেছে। এখন সমুদ্রপথে সেখানে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। সাগরপথে ত্রাণসহায়তা পাঠানোর জন্য ফিলিস্তিনের গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক জাহাজ রওনা দিয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া বক্তব্যে জোসেফ বোরেল বলেন, কার্যকর স্থলপথের অভাবের কারণে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।
বোরেল বলেন, গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা দরকার। এ জন্য যতটা সম্ভব কাজ করে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সংযম সাধনার মাস রমজান। কিন্তু এ মাসেও ইসরায়েলি আগ্রাসন, বোমা হামলা থেকে নিস্তার নেই ফিলিস্তিনিদের। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ মারা যান। এছাড়া ২৫৩ জনকে জিম্মি করা হয়। জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত ৩১ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি মারা গেছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘প্রায় অনিবার্য’ হয়ে উঠেছে। সামান্য কিছু খাবার ও সুপেয় পানির ওপর বেঁচে রয়েছেন আনুমানিক ৩ লাখ মানুষ।