নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনা, মৌলভীবাজার ও রাজবাড়ীতে ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ২০ বছর মেয়াদে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে মোট খরচ হবে ১০ হাজার ৬১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ বিষয়ে অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে এর সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।
তিনি জানান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃক খুলনার রূপসা উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট (এসি) সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০ বছর মেয়াদে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের নিমিত্তে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে যৌথভাবে এনারগন রিনিউয়্যাবলস (বিডি) এবং পিডব্লিউআরের চুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে ওই কোম্পানিকে প্রতি
কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০.৯১৭৪ টাকা হিসাবে আনুমানিক ৩ হাজার ৫৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট (এসি) সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০ বছর মেয়াদে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে কনসোর্টিয়াম অব থিয়েন ভু ভিয়েতনাম নিউ এনার্জি জয়েন্ট স্টক কোং এবং ড্রিম ফাইন্ডার লিমিটেডের চুক্তি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে উক্ত কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০.৯২ টাকা হিসাবে আনুমানিক ৩ হাজার ৫৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট (এসি) সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০ বছর মেয়াদে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে কনসোর্টিয়াম অব চায়না ডাটাং ওভারসিজ ইনভেস্টমেন্ট কোং লিমিটেড এবং এনগ্রিন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে উক্ত কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০.৯১৭৪ টাকা হিসেবে আনুমানিক ৩ হাজার ৫৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।