গাজায় মানবিক সহায়তায় বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। অঞ্চলটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যে ভেঙে পড়েছে এবং এর সঙ্গে সেখানে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) অভিযোগ করেছে, গাজায় মানবিক সহায়তায় বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে প্রমাণ রয়েছে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে। খবর: আনাদোলু এজেন্সি।

ইইউ পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশে বাধা দিচ্ছে এবং তাদের এই কর্মকাণ্ডের প্রমাণও রয়েছে। এর আগে তিনি বলেছিলেন, গাজায় ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল।

বোরেল জানিয়েছেন, চলমান মানবিক সহায়তা সম্পর্কিত সংকটের কারণ হচ্ছে সীমান্তে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ। যুক্তরাষ্ট্রের পিবিএস টেলিভিশনে তিনি বলেন, যদি মানুষ অনাহারে থাকে। অনাহারে কেন থাকবে? সেখানে ওই লোকদের সাহায্য করার জন্য কোনো মানবিক সহায়তাই নেই? এবং কেন (এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে)? কারণ ইসরায়েল সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করছে এবং মানবিক সহায়তা আসতে দিচ্ছে না।

গাজায় যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ইসরায়েল অনাহারকে ব্যবহার করছে বলে তার মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আপনি কি মনে করেন গাজায় অনাহার রয়েছে? হ্যাঁ, গাজায় অনাহার আছে। লাখ লাখ মানুষ আক্ষরিক অর্থে অনাহারে রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেক শিশু মারা যাচ্ছে।

বোরেল প্রশ্ন করেন, আপনি মানবিক সাহায্য আসতে বাধা দিচ্ছেন এবং মানুষ ক্ষুধার্ত থাকছে, এটিই কি সংকটের পেছনে যৌক্তিক কারণ নয়? গাজায় ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্ব জনমতের পরিবর্তনের বিষয়ে বোরেল বলেন, আমি এটিকে অবশ্যই একটি গণহত্যা বলতে পারি এবং এটি নিয়ে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ উদ্বিগ্ন বোধ করছে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য ইইউ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে বলেও বোরেল পুনর্ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৫৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৩ হাজার ৫৪৬ জন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০