প্রতিনিধি ,সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণের ঘটনাটি টাকার বিনিময়ে ধামাচাপার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদ মোস্তফা খান বাচ্চুর বিরুদ্ধে। ধর্ষণের বিচার ৫০ হাজার টাকায় মিমাংসার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচার ঝড় বয়ছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আয়নাল ব্যাপারীকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে জেলার চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর মুদিপাড়া এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে বিষয়টি সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদ মোস্তফা খান বাচ্চু। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করা হয়। তবে পুলিশী তৎপড়তায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ নির্যাতিত প্রতিবন্ধী তরুণী ও অভিযুক্ত আয়নাল ব্যাপারীকে থানায় নিয়ে যায়।
নির্যাতিত তরুণীর স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই তরুণী তার মা অজেদা খাতুনের সঙ্গে থাকত। তার বাবা অন্য জায়গায় বিয়ে করে তাদের রেখে চলে যায়। মঙ্গলবার সকালে তার মা কাজে গেলে সে বাড়ির বাইরে হাঁটাহাঁটি করছিল। এ সময় স্থানীয় আয়নাল জোরপূর্বক টিনের ঘেরা দেওয়া একটি ফাঁকা স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় ধর্ষণকালে তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এ ঘটনায় সকালেই স্থানীয় মাতব্বর এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদ মোস্তফা খান বাচ্চু, ছামান তালুকদার ও নুরু হাজীসহ কয়েকজন সালিশ বৈঠকে বসে। পরে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করে।
এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদ মোস্তফা খান বাচ্চু বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। যেহেতু বিষয়টি থানা পর্যন্ত গেছে সেখানে কথা বলেন। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই তরুণীকে একা পেয়ে আয়নাল ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদ মোস্তফা খান বাচ্চুর নেতৃত্বে ৫০ হাজার টাকায় মীমাংসাও করা হয়। খবর পেয়ে আমরা ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আয়নাল ব্যাপারীকে (৬২) আটক করেছি। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
