শেয়ার বিজ ডেস্ক: বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জিম্মির নবম দিনে এসে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। গতকাল বুধবার তারা যোগাযোগ করে বলে জাহাজের মালিকপক্ষের বরাতে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।
জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জলদস্যুরা যোগাযোগ (ফোন) শুরু করেছে। এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।’
সংশ্লিষ্টদের ধারণা, যোগাযোগ শুরু হওয়ায় এখন জলদস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করতে পারে। দরকষাকষি করে সমঝোতায় পৌঁছালে জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তি মিলতে পারে। এদিকে, সরকার ও জাহাজের মালিকপক্ষ এরই মধ্যে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ ও জিম্মিদের উদ্ধারে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য নাবিকদের সুস্থভাবে মুক্ত করা। একই সঙ্গে জাহাজ মুক্ত করা। আমরা নানা কৌশলে এগোচ্ছি। আমরা আশা করি, একটা সমাধানে যেতে পারব।’
গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জিম্মি করে জলদস্যুরা। নাবিকরা সবাই বাংলাদেশি। এরপর জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটি শুক্রবার সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করে রাখে জলদস্যুরা।
এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’। ওই জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সরকারি উদ্যোগসহ নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হয়। ১৫ মার্চ তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।