নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির দু-একজন ঘনঘন প্রেস কনফারেন্স করছে। তারা নির্বাচনের আগে সরকারের সঙ্গে লাইন দিয়েছিল। বেশি কথা বললে অনেক কিছু রেকর্ড আছে, সেগুলো ফাঁস করে দেব।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জš§বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিচারে মিলে নেই, চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে প্রাপ্তি কী হতে পারে, তা নিয়ে শঙ্কায় পরে আবার… করেছিল। এখন মিডিয়ার সামনে এসে নানা কথা বলা শুরু করেছে। বেশি কথা বললে অনেক কিছু রেকর্ড আছে, সেগুলো ফাঁস করে দেব। সুতরাং আমরা চিনি-জানি, কতজন লাইন দিয়েছিল, সে তালিকাও আমাদের কাছে আছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা এখন সুন্দর সুন্দর কথা বলে, তারা আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে। আসলে তারা সবাই রাজনীতির কাক। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে কাকদের সন্নিবেশ ঘটিয়ে জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেছিল। রাজনীতির কাকরা যেখানেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট পায়, সেখানেই ছুটে যেতে চায়। এই রাজনীতির কাকরা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট ঠিকমতো পায়নি বলেই তো লাইন দেয়ার পরেও তারা ভিন্ন লাইনে কথা বলা শুরু করেছে। আমরা সবাইকে চিনি-জানি, সবার গোমর আমাদের কাছে জমা আছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনি একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক। তার প্রতি আমার সম্মান ও শ্রদ্ধা দুটি রেখেই বলতে চাই, দেশে যখন বন্যা হয় তখন তাকে দেখা যায় না। দেশে যখন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, তখন কোনো বক্তব্য শোনা যায় না। দেশে যখন কোনো দুর্যোগ হয়, তখন তিনি বিদেশে ব্যস্ত থাকেন পুরস্কার নেয়ার জন্য। আপনারা জানেন তিনি কিছুদিন আগে আদালত কর্তৃক শাস্তিপ্রাপ্ত-সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দেখলাম, তিনি বাকু সম্মেলনে গিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। পৃথিবীতে যত ধরনের পুরস্কার আছে, সব জায়গায় তার লবিস্ট ফার্ম যোগাযোগ করে সেখান থেকে পুরস্কার আনে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যাকে দেশের কোনো কাজে কোনো সময় পাওয়া যায় না, তাকে যদি কেউ পুরস্কার দিয়ে বেড়ায়, সেটি অত্যন্ত হাস্যকর।
মন্ত্রী বলেন, এই ধরনের আরও কিছু ব্যক্তিবিশেষ আছে, যারা দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশকে খারাপভাবে বিদেশিদের সামনে উপস্থাপন করেন। বিএনপি ও জামায়াত মিলে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই অপচেষ্টা ভেস্তে গেছে। দেশে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে কারণে পৃথিবীর ৮০টা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সব প্রেরণার উৎস। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার সব প্রেরণার উৎসও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধাচারীরা, দেশের বিরুদ্ধাচারীরা যেমন রাজনীতিতে পরাস্ত হয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল, তেমনি আজকেও জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেচারীরা, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক কৌশলের কাছে পরাজিত হয়েছে। সেই কারণে তারা নানা ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। আমি মুক্তিযুদ্ধের সব সপক্ষের শক্তিকে আহ্বান জানাব এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য।
