নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার মিরপুর, গুলশান, বনানী, বারিধারা ও উত্তরায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)। যদিও পাইকারি (বাল্ক) বিদ্যুতের উচ্চহারের জন্য ক্রমেই মুনাফা কমছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির। এক্ষেত্রে বাণিজ্যিক গ্রাহক ছাড়া সব খাতেই ক্রয়মূল্যের চেয়ে বিক্রয়মূল্য কম কোম্পানিটির। এজন্য গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ছয় দশমিক ৩৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ডেসকো।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) অনুষ্ঠিত বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে গতকাল এ প্রস্তাব করা হয়। তবে প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই শেষে ডেসকোর গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুতের দাম এক দশমিক ১১ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বিইআরসির কারিগরি কমিটি।
ডেসকোর প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় বিক্রয়মূল্য সাত টাকা ২০ পয়সা। তবে এ বিদ্যুতের গড় সরবরাহ মূল্য সাত টাকা ৭২ পয়সা। ফলে ইউনিটপ্রতি ঘাটতি ৫২ পয়সা বা ছয় দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর মধ্যে শুধু বাণিজ্যিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহে মুনাফা করে ডেসকো। পাশাপাশি আবাসিকেও ৪০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারী গ্রাহকদের ক্ষেত্রে মুনাফা হয়। আর বাকি সব গ্রাহকের ক্ষেত্রে ডেসকোর ট্যারিফ ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি মেটাতে বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
যদিও কারিগরি কমিটির বিশ্লেষেণে ভিন্ন চিত্র উঠে আসে। এতে বলা হয়, সরকার নতুন পে-স্কেল ঘোষণার ফলে ডেসকোর ব্যয় বেড়েছে ইউনিটপ্রতি আট পয়সা তথা এক দশমিক ১১ শতাংশ। এজন্য ঘাটতি ট্যারিফ আট পয়সা বাড়াতে হবে। তবে বিদ্যমান বাল্ক মূল্য বৃদ্ধি করা হলে খুচরা পর্যায়ে তা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে।
এদিকে কৃষি ছাড়া সব ধরনের গ্রাহকের বিদ্যুৎসেবার জন্য সার্ভিস চার্জ ও ডিমান্ড চার্জও বৃদ্ধির সুপারিশ করে ডেসকো। এর সঙ্গে একমত পোষণ করে কারিগরি কমিটি। তবে এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিতরণকারী সব কোম্পানির জন্য একক হার অনুসরণের সুপারিশ করা হয়।
Add Comment