এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কে ১০টি ওভারপাস ও সেতু চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক: মেঘনা টোল প্লাজায় ১২টি বুথে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অন্যদিকে, এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কে নির্মিত ১টি রেল ওভারপাস, ৭টি ওভারপাস ও ২টি সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গতকাল শনিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এগুলো উম্মুক্ত করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকল্পের আওতায় এখানে একটি রেল ওভারপাস, ৭টি ওভারপাস এবং দুটি সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য উš§ুক্ত করছি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতু ও মেঘনা-গোমতী সেতু টোল প্লাজায় ২০১৬ সাল থেকে সীমিত পরিসরে একটি করে লেনে ইটিসি কার্যক্রম চালু রয়েছে। মেঘনা সেতুর টোল প্লাজায় বিদ্যমান কমসংখ্যক টোল বুথগুলোর মাধ্যমে যানবাহন থেকে টোল কালেকশন বিশেষ করে ঈদের সময় যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষমাণ থেকে টোল পরিশোধ করার কারণে জনভোগান্তি বেড়ে যায়। সে প্রেক্ষাপট বিবেচনায় টোল কালেকশনকে অধিকতর প্রযুক্তিনির্ভর করা এবং জনভোগান্তি লাঘবে বিদ্যমান মেঘনা সেতু টোল প্লাজার পাশে নতুন আরেকটি টোল প্লাজা নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়।

এতে জানানো হয়, ঢাকা জোনের আওতায় আনুষঙ্গিক অন্যান্য সুবিধাসহ প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন এই টোল প্লাজায় ৬টি নতুন টোল কালেকশন বুথের সংস্থান রয়েছে। ফলে বিদ্যমান পুরোনো টোল প্লাজা ৬টি এবং নবনির্মিত মেঘনা টোল প্লাজা-২-এর নতুন ছয়টিসহ সর্বমোট ১২টি টোল বুথের মাধ্যমে টোল কালেকশন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

উল্লেখ্য, এই ১২টি টোল বুথের সবকটিতেই ক্যাশ ও ক্যাশলেস (ইটিসি) ট্রানজেকশনের মাধ্যমে টোল দেয়া যাবে। ফলে যেসব যানবাহন ইটিসি পদ্ধতিতে টোল দেবে তারা বিরতিহীনভাবে অর্থাৎ টোল প্লাজায় না থেমেই দ্রুততম সময়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। এতে টোল প্লাজায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টোল দেয়ার চিরাচরিত ভোগান্তি আর থাকবে না।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০