দুই মহাসড়কে যাত্রীর ঢল মোড়ে মোড়ে যানজট

প্রতিনিধি, গাজীপুর: দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ছুটছে মানুষ। গতকাল সোমবার দুপুরে ছুটি পেয়ে শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর থেকে লাখ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিক ঈদযাত্রায় শামিল হয়েছেন। এতে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। এত যাত্রীর তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা খুবই কম। পরিবহন সংকটে পড়ে বাস, ট্রাক, পিকআপ ও ড্রাম্প ট্রাকে করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন অনেকে।

জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রার কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির দীর্ঘ সারি রয়েছে। কবিরপুর থেকে চন্দ্রা পার হয়ে ঈদযাত্রার গাড়িগুলো মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে। এতে মহাসড়কে চলাচলকারী দূরপাল্লার যানবাহনগুলো গতি হারাচ্ছে। গতি হারিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য যানজট তৈরি হয়েছে।

গাজীপুর ছাড়াও গাবতলী, আশুলিয়া, বাইপাইল, সাভার ও নবীনগর এলাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো চন্দ্রা এলাকা পার হয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ পরিস্থিতি বাড়তে থাকলে ভুগতে হবে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের।

অপরদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে যাত্রীদের অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে স্বল্প দূরত্বের চলাচলকারী বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও পিকআপ। এসব পরিবহন দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর ইচ্ছামতো ভাড়া হাঁকিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। মহাসড়কের ওপর বা মহাসড়ক ঘেঁষে দাঁড়ানোর ফলে গতি হারাচ্ছে দূরপাল্লার পরিবহনগুলো। গতি হারিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের ওপর দীর্ঘ সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানোর কারণেও যানজটের তৈরি হয়েছে। কোনো কোনো মোড়ের যানজট প্রায় কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হলেও যাত্রী ওঠানামা শেষে আবার মুহূর্তেই যানজট মিলিয়ে যাচ্ছে।

মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি শেখ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, সোমবার দুপুরের পর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদে ঘরে ফেরা গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেশ উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে যানজট কমাতে পুলিশ কাজ করছে।

নাওজোড় হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি মো. শাহাদাত হোসেন জানান, মহাসড়কের যে পরিস্থিতি রয়েছে, তা যানজটের আওতায় পড়ে না। যাত্রী ওঠানামা করাতে গাড়িগুলো দাঁড়াচ্ছে, এতে সামান্য সময়ের জন্য যানজটের তৈরি হচ্ছে। গাড়িগুলো চলে যাওয়ার পর মুহূর্তেই আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।

গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব জানান, চন্দ্রায় যাতে যানজটের তৈরি না হয়, সেজন্য পুলিশ কাজ করছে। মহাসড়কের ওপর কোনো গাড়িকে দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া বিকল হয়ে যাওয়া গাড়ি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে রেকার তৈরি রাখা হয়েছে, যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়ি রেকারের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়া যায়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত এই পথে গাজীপুর অংশে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০