সব হাসপাতালে বই পড়ার ব্যবস্থা চাই

বই মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে, অজানা বিষয়কে জানতে সাহায্য করে, টেনশন দূর করে মনকে ভালো করে তোলে, মানুষের সঠিক আর ভুলকে চিন্তে বা বিচার করতে সাহায্য করে। হাসপাতাল এমন একটি জায়গা যেখানে হাজারো মানুষ অসুস্থ অবস্থায় দিন কাটায়, তাদের থাকে হাজারো কষ্টের বাহার। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কাটাতে হয় রোগী ও রোগীর সঙ্গে থাকা মানুষসহ। তাদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয় সুস্থ হওয়ার আশায়। তাদের সবসময় চিন্তা থাকে কীভাবে সুস্থ হয়ে বাড়ি যাবে। রোগীর সঙ্গে থাকতে হয় এক বা একের অধিক মানুষকে। তারা সুস্থ হওয়া সত্ত্বেও হয়ে ওঠেন অসুস্থ, এর কারণ হাসপাতালের পরিস্থিতি, টেনশন, রোগীকে সুস্থ করার বাসনা প্রভৃতি। একটি পরিবারে কোনো সদস্য অসুস্থ হলে সেই পরিবারের সদস্যরাই জানেন, কত দুশ্চিন্তায় দিন পার করতে হয়। তাও আবার হাসপাতালে হলে কথাই নেই। হাসপাতাল এ রোগীর সঙ্গে থাকা মানুষও অসুস্থ হয় টেনশনে। আবার অনেক সময় তাদের হাসপাতালে দিন কাটে না, তাদের কাছে মনে হয় সময় স্থায়ী, তারা শুধু সময় যাওয়ার অপেক্ষায় একলা নিস্তব্ধ বসে থাকে কোনো এক জায়গায়। বই পড়ে সবসময় নতুন কিছু জানা যায় এবং সময় কাটানো যায়, জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করা যায়। হাসপাতালে রোগী বা রোগীর সঙ্গে থাকা মানুষের কষ্টে দিন পার করতে হয় বলে রোগীর সময় কাটার মতো কিছু করা দরকার হাসপাতালে। বই-ই পারে এ ধরনের কাজ করতে। তাই যদি প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বই পড়ার ব্যবস্থা থাকে, তাহলে রোগী বা তার সঙ্গে থাকা মানুষ নির্বিঘ্নে দিন কাটাতে পারবেন বই পড়ার মাধ্যমে। ফলে তাদের টেনশন দূর হবে, সময় কেটে যাবে এবং অনেক কিছু জানতে পারবেন। কারণ বইয়ে এমন কিছু কাহিনি থাকে যে এগুলো পড়লে মানুষের মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তাই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির প্রতি বিশেষ আহ্বান যাতে হাসপাতল রোগী ও রোগীর সঙ্গে থাকা মানুষ বই পড়ে দিন কাটাতে পারেন। সেজন্য প্রতিটি হাসপাতাল বই পড়ার ব্যবস্থা করুন।

মোহাম্মদ ছরোয়ার

শিক্ষার্থী, সরকারি আলাওল কলেজ

বাঁশখালী, চট্টগ্রাম

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০