লালমনিরহাট প্রতিনিধি: নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘সরকারি সুবিধা ভোগ করেনÑএমন কেউ নির্বাচনের প্রচারে অংশগ্রহণ করলে, যে প্রার্থীর প্রচার করবেন, তার প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়া হবে।’
গতকাল শনিবার বিকালে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রার্থী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে পৃথক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চার জেলার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন চায় সহিংসতামুক্ত সুষ্ঠু একটি নির্বাচন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। এর বাইরে গেলেই শাস্তি পেতে হবে প্রার্থীর।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা সংসদীয় আসনে থাকতে পারবেন। যেহেতু তারা ভোট দেবেন, সে ক্ষেত্রে তাদের তো থাকতে হবে। তবে কোনো প্রার্থীর পক্ষেই প্রভাব কিংবা প্রচার-প্রচারণায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রার্থী প্রমাণসহ অভিযোগ দিলে ওই সংসদ সদস্য ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নির্বাচনে অনেক দলের প্রার্থী অংশগ্রহণ করছে নাÑএমন প্রশ্নের জবাবে ইসি রাশেদা বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না, সেটি তাদের নিজস্ব বিষয়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার থাকে না। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা তাদের স্বাধীন অধিকার। তবে না করলে তাদের ডেকে এনে নির্বাচন করানোর অধিকার কমিশনার রাখে না।’
এর আগে সকাল ১০টা থেকে লালমনিরহাটের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে সভা করেন এ নির্বাচন কমিশনার। এ সময় সব উপজেলার প্রার্থীরা অংশ নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ ছাড়া রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকসহ জেলার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুব জামান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ প্রমুখ।